1. apurbo99@gmail.com : Apurbo : Apurbo Hossain
  2. fahim@bdnewspaper24.com : Fahim Hasan : Fahim Hasan
  3. admin@bdnewspaper24.com : Hossain :
  4. mahfuzamunir@gmail.com : Mehrish : Mehrish Jannat
  5. khirullislamm@gmail.com : Khairul Islam : Khairul Islam
৩০০ টাকা কেজিতেও ব্রয়লার মুরগি মিলবে না | bdnewspaper
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন

৩০০ টাকা কেজিতেও ব্রয়লার মুরগি মিলবে না

নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০
  • ৮৫২ পঠিত

গত ২২ এপ্রিল ফার্মে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আজ ২২ মে এক মাসের ব্যবধানে তার দাম ১৯০ টাকা। আর কিছুদিন পর হয়তো ৩০০ টাকা কেজিতেও মিলবে না ব্রয়লার মুরগি। কারণ খামারে এখন আর মুরগি নেই। খামারিরা লস খেয়ে ঘরে বসে গেছেন। ব্রয়লার মুরগির খামারগুলো খা খা করছে। করোনার পর আর মুরগি না তুলে একদম বেকার বসে আছেন খামারিরা।

এদিকে বাচ্চা উৎপাদনকারীরা জানান, মুরগির বাচ্চাও বেচাকেনা তেমন নেই। যাওবা হচ্ছে প্রতি পিস বাচ্চায় ১০/১২ টাকা লস হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় চাষিরা সেদিকে তাকিয়ে আছেন। তাদের ভয় মুরগি তুললে আবার যদি লস হয় তখন সামাল দিতে পারবেন না। এদিকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী তাদের দেখবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাঠ পর্যায়ে তার কোনো নিদর্শন নেই।

এক মাস আগে দেখা গেছে, ৩৫ টাকার মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ১ টাকা, তাও কেউ খামারে তুলছে না! ফ্রি মুরগির বাচ্চা দিতে চাইলেও কোনো খামারি নতুন করে মুরগির বাচ্চা নেয়নি। লাখ লাখ বাচ্চা প্রতিদিন মেরে ফেলতে হয়েছে খামারিদের। কারণ করোনার শুরুতে গোটা দেশ যখন অচল হয়ে যায় তখন মুরগি, বাচ্চা ও ডিম কোনো কিছুই বেচাকেনা হয়নি। লস খেয়ে হাজার হাজার খামারি পথে বসে গেছে। সরকার পোল্ট্রি খাতে প্রণোদনা দিয়েছে। তারা লোন নিয়ে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খামারিদের কাছে খবর নিয়ে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কাছে কোনো লোক যায়নি। প্রণোদনার টাকাটা তারা কিভাবে পাবেন সেটাও তারা বলতে পারেন না।

গাজীপুর জেলার কুদাবো এলাকার তুষার পোল্ট্রি খামারের মালিক সেলিনা পারভীন জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমার এখন আর কোনো ব্যবসা নেই। খামার খালি পড়ে আছে। ব্রয়লার এবং লেয়ার কোনো সেডেই মুরগি নেই। শুনলাম সরকার নাকি আমাদের লোন দেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। করোনার শুরুতে ১০ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে ডিমপাড়া মুরগিগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। ডিমের দাম ক্রমান্বয়ে কমতে থাকা এবং খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য ডিম পাড়া মুরগি বিক্রি করেছি। তিন হাজার ব্রয়লার মুরগি ছিল। কেজি প্রতি খরচ হয়েছে ১১০ টাকা। আর বিক্রি করেছি ৪০/৪৫ টাকা। এখানেও কয়েক লাখ টাকা লস হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন আমরা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনে খাচ্ছি। এ ব্যাচটা ফুরিয়ে গেলে ৩০০ টাকা কেজিতেও মুরগি কিনতে পাওয়া যাবে না বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো খবর

Recent Posts

Recent Comments

    Theme Customized BY LatestNews