উল্টো দিকে প্যারিস স্যাক্লে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক ‘নেচার কমিউনিকেশনস’নামে একটি পত্রিকায় দাবি করেছেন, মায়ের থেকে সদ্যোজাতের শরীরে করোনা সংক্রমিত হয়েছে। তাঁদের দাবি, মায়ের রক্ত থেকে ভাইরাস প্ল্যাসেন্টায় পৌঁছেছে। সেখান থেকেই আক্রান্ত হয়েছে ওই সদ্যোজাত। বছর ২৩-এর মহিলা এবং তাঁর সদ্যোজাতের উপর পরীক্ষা চালান ফ্রান্সের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে নয়া এই গবেষণার ফলের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না রাজ্যের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গত নভেম্বর থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস নিয়ে চিন, ইতালি, ইংল্যান্ড, আমেরিকা-সহ নানা দেশে বহু গবেষণা হয়েছে। করোনায় মৃতদের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং ঘটনাক্রম ধরে ধরেও গবেষণা হয়েছে। কিন্তু প্ল্যাসেন্টার মাধ্যমে বা সাধারণ প্রসবে শিশু সংক্রমিত হয় না। কারণ করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে মায়ের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তা প্ল্যাসেন্টায় প্রবেশ করতে পারে না।’’
নয়া এই গবেষণা নিয়ে সন্দেহের সুর রাজ্যের মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের গলায়। তাঁর মতে, ‘‘করোনা অতিমারির মধ্যেই অনেকে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।’’ তিনি আরও বলছেন, ‘‘একটি ভাইরাসকে জানতে ছ’মাস সময় যথেষ্ট নয়। তবে এমনটা ঘটতেও পারে। কাজেই সেই সম্ভাবনাকে খারিজ করে দেওয়া যাবে না।’’