ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঈদের পর করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • ৭৬৪ পঠিত

দেশের কয়েক কোটি মানুষ প্রতিবছর এক কোটিরও বেশি পশু কোরবানির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় আসন্ন ঈদুল আযহার পর কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার তীব্রতর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গত ঈদের মতো এবারও যাতায়াতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পশুরহাটে ভিড়, সেখানেও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। গত ঈদুল ফিতরের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই এবারো তার পুনরাবৃত্তির আশংকা করছেন অনেকে।

বাংলাদেশে গত একমাস ধরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের চিত্র অনেকটাই স্থিতিশীল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অবস্থা থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী করা সম্ভব যদি আসন্ন কোরবানির ঈদেও সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু ঈদে যান চলাচল উন্মুক্ত থাকায় সেটা কতটা হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে পশুর হাটে জনসমাগম নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিত্সক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ঈদকে ঘিরে গাদাগাদি করে যেভাবে মানুষ বাড়িতে যাচ্ছে তাতে সংক্রমণ বাড়ার আশংকা থাকে। নিজের, পরিবার ও দেশকে বাঁচাতে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।

নিপসনের সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুর রহমান বলেন, আসলে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ভয় নেই। করোনা ভাইরাস যে আছে সেটা অনেকে মনে না করেই চলাচল করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্থির অবস্থায় আছে। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাকলেও ৭০ ভাগেরও বেশি মানুষের শরীরে উপসর্গ নেই। ডা. আব্দুর রহমান বলেন, মানুষ একটু সচেতন হলে করোনা ভাইরাস আরো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতো। গত ঈদে মানুষের যাতায়াত বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, তাই ঈদের পর সংক্রমণ বেড়েছিল। এবারও ঈদের পর বাড়ার আশংকা রয়েছে।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানে না। এমনকি বাধ্যতামূলক থাকলেও মাস্ক ব্যবহার করছে না। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা ভাইরাস আরো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদকে ঘিরে যেভাবে মানুষের যাতায়াত বাড়ছে, তাতে ঈদের পর সংক্রমণ বাড়ার আশংকা রয়েছে। গত ঈদেও সংক্রমণ বেড়েছিল স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক প্রোভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন বলেন, এখনো আমরা স্থির অবস্থায় আছি। যেহেতু আমরা সচেতন না এবং ঈদে যেভাবে মানুষ বাড়িতে যাচ্ছে তাতে ঈদের পর সংক্রমণ বাড়তে পারে। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। এর সুফলও তারা পেয়েছে। তাদের দেশে সংক্রমণ নেই বললেই চলে। প্রথমে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বিদেশিদের প্রবেশও নিষেধ করেছিল।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

ঈদের পর করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত : ১২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

দেশের কয়েক কোটি মানুষ প্রতিবছর এক কোটিরও বেশি পশু কোরবানির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় আসন্ন ঈদুল আযহার পর কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার তীব্রতর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গত ঈদের মতো এবারও যাতায়াতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পশুরহাটে ভিড়, সেখানেও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। গত ঈদুল ফিতরের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই এবারো তার পুনরাবৃত্তির আশংকা করছেন অনেকে।

বাংলাদেশে গত একমাস ধরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের চিত্র অনেকটাই স্থিতিশীল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অবস্থা থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী করা সম্ভব যদি আসন্ন কোরবানির ঈদেও সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু ঈদে যান চলাচল উন্মুক্ত থাকায় সেটা কতটা হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে পশুর হাটে জনসমাগম নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিত্সক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ঈদকে ঘিরে গাদাগাদি করে যেভাবে মানুষ বাড়িতে যাচ্ছে তাতে সংক্রমণ বাড়ার আশংকা থাকে। নিজের, পরিবার ও দেশকে বাঁচাতে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।

নিপসনের সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুর রহমান বলেন, আসলে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ভয় নেই। করোনা ভাইরাস যে আছে সেটা অনেকে মনে না করেই চলাচল করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্থির অবস্থায় আছে। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাকলেও ৭০ ভাগেরও বেশি মানুষের শরীরে উপসর্গ নেই। ডা. আব্দুর রহমান বলেন, মানুষ একটু সচেতন হলে করোনা ভাইরাস আরো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতো। গত ঈদে মানুষের যাতায়াত বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, তাই ঈদের পর সংক্রমণ বেড়েছিল। এবারও ঈদের পর বাড়ার আশংকা রয়েছে।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানে না। এমনকি বাধ্যতামূলক থাকলেও মাস্ক ব্যবহার করছে না। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা ভাইরাস আরো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদকে ঘিরে যেভাবে মানুষের যাতায়াত বাড়ছে, তাতে ঈদের পর সংক্রমণ বাড়ার আশংকা রয়েছে। গত ঈদেও সংক্রমণ বেড়েছিল স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক প্রোভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন বলেন, এখনো আমরা স্থির অবস্থায় আছি। যেহেতু আমরা সচেতন না এবং ঈদে যেভাবে মানুষ বাড়িতে যাচ্ছে তাতে ঈদের পর সংক্রমণ বাড়তে পারে। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। এর সুফলও তারা পেয়েছে। তাদের দেশে সংক্রমণ নেই বললেই চলে। প্রথমে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বিদেশিদের প্রবেশও নিষেধ করেছিল।