ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্প পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ কোয়ারেন্টিন দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ সুইজারল্যান্ডের

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০
  • ১৩৮৯ পঠিত

সুইজারল্যান্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সৌদি আরব এবং ব্রাজিলসহ ২৯ টি দেশকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির দেশ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। ৬ জুলাই থেকে এই দেশগুলো থেকে সুইজারল্যান্ডে প্রবেশকারী ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ১০দিনের জন্য পৃথকীকরণ বা কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

২৯টি দেশ হচ্ছে: আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলারুশ, বলিভিয়া, ব্রাজিল, কেপ ভের্দ, চিলি, কলম্বিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, হন্ডুরাস, ইরাক, ইস্রায়েল, কসোভো, কুয়েত, মলদোভা, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া, ওমান, পানামা, পেরু, কাতার, রাশিয়া, সৌদি আরব, সুইডেন, সার্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুর্কস এবং কাইকোস দ্বীপপুঞ্জ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সার্বিয়া এবং কসোভোও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কারণ এ দেশগুলো থেকে অভিবাসীদের বিশাল জনসংখ্যা সুইজারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছে এবং নিয়মিত আত্মীয়দেরস্বজনদের সাথে দেখা করতে আসা যাওয়া করে।

উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডে গত সপ্তাহে সংক্রমণ হার হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ ছাড়িয়ে যায়, ফলে ফেডারেল অফিস অফ পাবলিক হেলথ মহামারীর দ্বিতীয় ধাপ প্রতিরোধে সুইস কর্তৃপক্ষ নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসাবে এই তালিকা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা নূতন সংক্রমণ বৃদ্ধি, বিদেশ থেকে আগত বা সুইস জনগনের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশে ভ্রমণ করা অন্যতম কারণ।

সীমান্তরক্ষীরা সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মধ্যে একটি ক্রসিং খুলে দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তরক্ষীরা সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মধ্যে একটি ক্রসিং খুলে দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত১৫ জুন থেকে, সুইজারল্যান্ড তার সীমানা সমস্ত ইউরোপীয় শেনজেন দেশগুলোর পাশাপাশি আইসল্যান্ড, নরওয়ে, লিচেনস্টেইন এবং যুক্তরাজ্যের কাছে খুলেছে।

সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড ঘোষণা করেছে যে, ২০ জুলাই, “নিরাপদ” হিসাবে বিবেচিত নিম্নলিখিত দেশগুলোর নাগরিকেরা সুইজারল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারবেন। আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মরোক্কো, মন্টিনিগ্রো, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া , রুয়ান্ডা, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া এবং উরুগুয়ের পাশাপাশি ইইউ রাষ্ট্রগুলো শেনজেন অঞ্চলভুক্ত নয় (বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, আয়ারল্যান্ড এবং রোমানিয়া)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুপারিশ অনুসারে চীনকেও নিরাপদ তালিকায় যুক্ত করা হবে, তবে শর্ত থাকে যে সুইস বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে পারস্পরিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হবে।

২০ জুলাই থেকে অন্যান্য দেশগুলোর সাথে ভ্রমণ নিষেধ তুলে নেওয়া বা বাড়ানোর অস্থায়ী পরিকল্পনা রয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ কোয়ারেন্টিন দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ সুইজারল্যান্ডের

প্রকাশিত : ১০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

সুইজারল্যান্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সৌদি আরব এবং ব্রাজিলসহ ২৯ টি দেশকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির দেশ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। ৬ জুলাই থেকে এই দেশগুলো থেকে সুইজারল্যান্ডে প্রবেশকারী ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ১০দিনের জন্য পৃথকীকরণ বা কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

২৯টি দেশ হচ্ছে: আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলারুশ, বলিভিয়া, ব্রাজিল, কেপ ভের্দ, চিলি, কলম্বিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, হন্ডুরাস, ইরাক, ইস্রায়েল, কসোভো, কুয়েত, মলদোভা, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া, ওমান, পানামা, পেরু, কাতার, রাশিয়া, সৌদি আরব, সুইডেন, সার্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুর্কস এবং কাইকোস দ্বীপপুঞ্জ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সার্বিয়া এবং কসোভোও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কারণ এ দেশগুলো থেকে অভিবাসীদের বিশাল জনসংখ্যা সুইজারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছে এবং নিয়মিত আত্মীয়দেরস্বজনদের সাথে দেখা করতে আসা যাওয়া করে।

উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডে গত সপ্তাহে সংক্রমণ হার হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ ছাড়িয়ে যায়, ফলে ফেডারেল অফিস অফ পাবলিক হেলথ মহামারীর দ্বিতীয় ধাপ প্রতিরোধে সুইস কর্তৃপক্ষ নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসাবে এই তালিকা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা নূতন সংক্রমণ বৃদ্ধি, বিদেশ থেকে আগত বা সুইস জনগনের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশে ভ্রমণ করা অন্যতম কারণ।

সীমান্তরক্ষীরা সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মধ্যে একটি ক্রসিং খুলে দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তরক্ষীরা সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মধ্যে একটি ক্রসিং খুলে দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত১৫ জুন থেকে, সুইজারল্যান্ড তার সীমানা সমস্ত ইউরোপীয় শেনজেন দেশগুলোর পাশাপাশি আইসল্যান্ড, নরওয়ে, লিচেনস্টেইন এবং যুক্তরাজ্যের কাছে খুলেছে।

সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড ঘোষণা করেছে যে, ২০ জুলাই, “নিরাপদ” হিসাবে বিবেচিত নিম্নলিখিত দেশগুলোর নাগরিকেরা সুইজারল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারবেন। আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মরোক্কো, মন্টিনিগ্রো, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া , রুয়ান্ডা, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া এবং উরুগুয়ের পাশাপাশি ইইউ রাষ্ট্রগুলো শেনজেন অঞ্চলভুক্ত নয় (বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, আয়ারল্যান্ড এবং রোমানিয়া)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুপারিশ অনুসারে চীনকেও নিরাপদ তালিকায় যুক্ত করা হবে, তবে শর্ত থাকে যে সুইস বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে পারস্পরিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হবে।

২০ জুলাই থেকে অন্যান্য দেশগুলোর সাথে ভ্রমণ নিষেধ তুলে নেওয়া বা বাড়ানোর অস্থায়ী পরিকল্পনা রয়েছে।