রসিংদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩০ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে কোভিড-১৯–এ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯০ জনে।
এ ছাড়া নরসিংদীর মনোহরদীর এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁর নাম আশরাফ হোসেন খান (৭০)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোর কাছে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত মনোহরদীর ওই ব্যক্তি গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলার ১৪ জন ব্যক্তি মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলার ৯ জন, বেলাব উপজেলার ২ জন এবং পলাশ, মনোহরদী ও রায়পুরা উপজেলার একজন করে আছেন। এ ছাড়া জেলাজুড়ে কোভিড–১৯–এর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও অন্তত ২২ জন।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, ৪ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ১২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরদিন পরীক্ষার জন্য রাজধানীর মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৯৯টি নমুনার ফলাফল গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে পাওয়া গেছে। এতে নতুন করে আরও ৩০ জনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১৬ জন, পলাশ উপজেলার ৬, বেলাব উপজেলার ৪, মনোহরদী উপজেলার ২ ও রায়পুরা উপজেলার ২ জন রয়েছেন। নতুন করে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্য ও সংস্পর্শে আসা লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। অন্যদিকে তাঁদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) থাকতেও বাধ্য করা হচ্ছে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত জেলার ৬টি উপজেলা থেকে মোট ৫ হাজার ১৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তার মধ্যে পরীক্ষা শেষে ৪ হাজার ৪১৭ জনের নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ৮৯০ জনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। জেলাজুড়ে আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬১৫ জন, রায়পুরায় ৬৩, পলাশে ৬৪, শিবপুরে ৬৬, বেলাবতে ৫৪ ও মনোহরদীতে ২৮ জন রয়েছেন।
জেলা করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেলের প্রধান এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ইমরুল কায়েস জানান, বর্তমানে ৪২ জন আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন) আছেন এবং ৫৮৫ জন আছেন বাড়িতে আইসোলেশনে। এ ছাড়া আক্রান্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৬৩ জন।