ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

করোনাকালে শ্বাসকষ্টের রোগীর জন্য পরামর্শ

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
  • ৭৩৪ পঠিত

হাঁপানি, ক্রনিক ব্রংকাইটিস, আইএলডি ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের শ্বাসতন্ত্র নাজুক থাকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে তাই তাঁদের জটিলতার আশঙ্কা বেশি। এ ধরনের রোগীর তীব্র নিউমোনিয়াই শুধু নয়, অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিন্ড্রোমও (এআরডিএস) হতে পারে। এআরডিএসে ফুসফুসের টিস্যু পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না।

শ্বাসকষ্টের রোগীদের এমনিতেই মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্ট হয়। করোনা মহামারির এই সময় এ সমস্যার সঙ্গে যোগ হয়েছে উদ্বেগ। কারণ, হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে প্রাথমিক পর্যায়ে বোঝা কঠিন যে কী কারণে শ্বাসকষ্ট শুরু হলো, করোনার সংক্রমণ, নাকি শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি রোগ। কাজেই এ সময় শ্বাসকষ্টের রোগীদের কিছু বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।

• চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিছুতেই কোনো অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করবেন না। এতে পরবর্তীতে সমস্যা চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

• নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করুন। তবে করোনার রোগীদের নেবুলাইজার ব্যবহার করা নিষেধ। কারণ, নেবুলাইজার যন্ত্রে অ্যারোসল তৈরি হয়। এতে জীবাণু চারপাশের বাতাসে সহজে ছড়িয়ে পড়ে।

• অনেক হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগী স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবনে অভ্যস্ত। শ্বাসকষ্ট সামান্য বাড়লেই তাঁরা স্টেরয়েড খেয়ে ফেলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ সময় কিছুতেই এটি করবেন না। কারণ, স্টেরয়েড রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

• সিওপিডির অনেক রোগী বাড়িতে অক্সিজেন ব্যবহার করেন। তাঁদের ক্ষেত্রে লো ডোজ অক্সিজেন ব্যবহারের নিয়ম। শ্বাসকষ্ট হলে হঠাৎ হাই ডোজ অক্সিজেন দেওয়া যাবে না। এতে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। সিওপিডির রোগীদের ক্ষেত্রে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮৮ শতাংশ বা তার নিচেও স্বাভাবিক ধরা হয়। তাঁদেরকে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে অক্সিজেন দিতে হয়। এটি বাড়িতে সম্ভব না।

• সিওপিডির প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপান একেবারে নিষিদ্ধ।

• দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগীদের করোনা হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত। কারণ, তাঁদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা ঝুঁকিপূর্ণ।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

করোনাকালে শ্বাসকষ্টের রোগীর জন্য পরামর্শ

প্রকাশিত : ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০

হাঁপানি, ক্রনিক ব্রংকাইটিস, আইএলডি ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের শ্বাসতন্ত্র নাজুক থাকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে তাই তাঁদের জটিলতার আশঙ্কা বেশি। এ ধরনের রোগীর তীব্র নিউমোনিয়াই শুধু নয়, অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিন্ড্রোমও (এআরডিএস) হতে পারে। এআরডিএসে ফুসফুসের টিস্যু পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না।

শ্বাসকষ্টের রোগীদের এমনিতেই মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্ট হয়। করোনা মহামারির এই সময় এ সমস্যার সঙ্গে যোগ হয়েছে উদ্বেগ। কারণ, হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে প্রাথমিক পর্যায়ে বোঝা কঠিন যে কী কারণে শ্বাসকষ্ট শুরু হলো, করোনার সংক্রমণ, নাকি শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি রোগ। কাজেই এ সময় শ্বাসকষ্টের রোগীদের কিছু বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।

• চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিছুতেই কোনো অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করবেন না। এতে পরবর্তীতে সমস্যা চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

• নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করুন। তবে করোনার রোগীদের নেবুলাইজার ব্যবহার করা নিষেধ। কারণ, নেবুলাইজার যন্ত্রে অ্যারোসল তৈরি হয়। এতে জীবাণু চারপাশের বাতাসে সহজে ছড়িয়ে পড়ে।

• অনেক হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগী স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবনে অভ্যস্ত। শ্বাসকষ্ট সামান্য বাড়লেই তাঁরা স্টেরয়েড খেয়ে ফেলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ সময় কিছুতেই এটি করবেন না। কারণ, স্টেরয়েড রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

• সিওপিডির অনেক রোগী বাড়িতে অক্সিজেন ব্যবহার করেন। তাঁদের ক্ষেত্রে লো ডোজ অক্সিজেন ব্যবহারের নিয়ম। শ্বাসকষ্ট হলে হঠাৎ হাই ডোজ অক্সিজেন দেওয়া যাবে না। এতে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। সিওপিডির রোগীদের ক্ষেত্রে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮৮ শতাংশ বা তার নিচেও স্বাভাবিক ধরা হয়। তাঁদেরকে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে অক্সিজেন দিতে হয়। এটি বাড়িতে সম্ভব না।

• সিওপিডির প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপান একেবারে নিষিদ্ধ।

• দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগীদের করোনা হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত। কারণ, তাঁদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা ঝুঁকিপূর্ণ।