চিকিৎসকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। নমুনা পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারপরও ওই চিকিৎসক তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেছেন। এ ঘটনা রংপুর নগরের চাউল অমোদ রোড এলাকার। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ওই চিকিৎসকের চেম্বারে লকডাউনের নোটিশ টাঙিয়ে দেয় সিটি করপোরেশন।
জেলা সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, ২ জুন ওই চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, নমুনা নেওয়ার পর তাঁর আইসোলেশনে থাকতে হবে। কিন্তু তা তিনি করেননি। ৭ জুন পরীক্ষা ফল পাওয়ার পর তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপরও তিনি গত বুধবার পর্যন্ত প্রতিদিনই তাঁর চেম্বারে রোগী দেখেছেন।
এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে নগরের চাউল আমোদ রোডে ওই চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ করে লকডাউনের নোটিশ টাঙিয়ে দেয় সিটি করপোরেশন। তাঁর কাছে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন, তাঁদের নিজ ইচ্ছায় আইসোলেশন যাওয়াসহ করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই চিকিৎসক মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি করোনা পরীক্ষার পর ফল পেতে দেরিতে জেনেছি। এ ঘটনার জন্য দুঃখিত। বর্তমানে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছি।’
সিভিল সার্জন ও জেলা করোনা কমিটির সদস্যসচিব হিরম্ব কুমার রায় বলেন, করোনা পরীক্ষার নমুনা দেওয়ার পর ফল না পাওয়া পর্যন্ত সবাইকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই তা মানেন না।