কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই এলাকায় একটি ট্রাক সড়কের গর্তে আটকে গেলে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে চট্টগ্রামগামী বালুবাহী ওই ট্রাকটি গর্তে আটকে যায়। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চালক ও চালকের সহকারীরা।
এর আগেও উপজেলায় গর্তে ট্রাক আটকে যান চলাচল দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ ছিল।
বাসের চালক সবুজ মিয়া, অন্য বাসের চালক হাবিব মিয়া ও বাবু মিয়া বলেন, সড়কের এক পাশে সংস্কারকাজ চলায়, গর্তে ভরা অন্য পাশ দিয়ে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে এক মাস ধরে নিয়মিত এমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল বুধবারও উপজেলার আঙ্গাউড়া এলাকায় একটি ট্রাক আটকে একই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ট্রাকচালক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত জেগে গাড়ি চালিয়ে ভোর পাঁচটার পর এ স্থানে এসে যানজটে আটকা পড়ি। যানজটে আটকে থেকে টেনশনে ঘুমাতেও পারছি না। সময়মতো পৌঁছাতে না পারলে মাল নামাতে শ্রমিক পাওয়া মুশকিল হবে।’
এ সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক দাউদকান্দির হরিপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন, জিংলাতলী গ্রামের রুহুল আমিন ও সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়কে ট্রাক আটকে চলাচল বন্ধ হওয়ায় আজ ভাড়া পাওয়া যাবে না। মালিকের জমার টাকা দিতেই কষ্ট হবে। পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছুই নেওয়া সম্ভব হবে না।
চরগোয়ালী খন্দকার নাজির আহমেদ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বুলবুল আহমেদের মতে, সড়কটি মেরামত না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধ করা উচিত।
আটকে যাওয়া বালুবাহী ট্রাকের চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সড়কের অবস্থা এতই নাজুক যে বালু নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি সড়কে আটকে রাখাটাই মুশকিল হয়ে যায়। তা ছাড়া বালুর মালিকেরা একদম ভেজা বালুও ট্রাকে ওঠাতে থাকেন। আমাদের শত অনুরোধ করার পরও শোনেন না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভাঙা সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে গর্তে নিয়মিত আটকে যায়। এতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে। যানজটটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও বিস্তৃত হচ্ছে।