দীর্ঘ ৩০ বছর পর আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১৯৯০ সালে শেষ রফতানি হয় ওয়েট-ব্লু। এরপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই দিন আমদানি ও রফতানির প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর থেকে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এখন আর রফতানি বাধা থাকবে না ওয়েট-ব্লু চামড়ার। পাশাপাশি কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমোদন দেয়া হয়। তবে কাঁচা ও ওয়েট-ব্লু চামড়া কেস-টু-কেস ভিত্তিতে রফতানি হবে। এ সংক্রান্ত রফতানিকারকদের আবেদন পর্যালোচনা ও সুপারিশ করতে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব টিপু সুলতান যুগান্তরকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তবে এটি বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ রফতানি করতে লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। বিশ্বের অনেক দেশ যখন জানতে পারবে তখন বাংলাদেশকে এলসি দেবে। সব মিলে আরও এক বছর পর এর সুফল পাওয়া যাবে।
২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চামড়া শিল্প খাত উন্নয়ন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ টাস্কফোর্স গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শিল্পমন্ত্রী? নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এবার কাঁচা চামড়া রফতানির।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সবার সঙ্গে আলোচনার পর মনে হয়েছে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থায় স্থিতিশিলতা বজায় রাখার জন্য রফতানি নীতি ২০১৮-২১ এর অনুচ্ছেদ ৯.১৫ এ কাঁচা ও ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানিতে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে শিথিল করা প্রয়োজন। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত এ বিষয়ক কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কেস-টু-কেস ভিত্তিতে কাঁচা ও ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
কাঁচা ও ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির জন্য গঠিত কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, আমদানি-রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি রয়েছেন।