দুবছর আগে-পরে দুজনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরু। পাকিস্তানের জার্সিতে কামরান আকমলের অভিষেক ২০০২ সালে, মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারতীয় দলে অভিষেক দুবছর পর। কীর্তিতে অবশ্য কামরানের সঙ্গে ধোনির তুলনাই হয় না! ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতকে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপহার দেওয়ার পর ধোনিকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে জিতেছেন ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সৌরভ গাঙ্গুলীর পর ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়কও বলা হয় তাঁকেই। সেই ধোনির প্রশংসায় এবার পঞ্চমুখ কামরান আকমল।
পাকিস্তানের হয়ে ৫৩টি টেস্ট ম্যাচ, ১৫৭টি ওয়ানডে ও ৫৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা আকমলের স্মৃতিতে এখনও উজ্জ্বল ২০০৬ সালের পাক-ভারত সিরিজ। পাকিস্তানের মাটিতে সেবার ভারত যে পাকিস্তানের কাছ থেকে সিরিজটা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল, তাতে ধোনির অনেক বড় অবদান। আকমল সেই সিরিজের কথা উল্লেখ করে বলছিলেন, ‘এখনও মনে পড়ে ধোনির দাপটে পাকিস্তানের হাত থেকে ওয়ানডে সিরিজ একাই ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। কেনিয়াতে সে পাকিস্তান ’এ’ দলের বিপক্ষে যেভাবে শুরু করেছিল, সেই একই পারফরম্যান্স ধরে রেখেছিল পাকিস্তানে গোটা সিরিজজুড়েই।’
ইউটিউবে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনাবিষয়ক অনুষ্ঠান ক্রিককাস্টে এসে আকমলের উচ্ছ্বাস ঝরল ধোনির সাফল্যে, ‘টি টোয়েন্টি, ওয়ানডে, আইপিএল ট্রফি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নিয়েছে অধিনায়ক ধোনি। এসব কৃতিত্ব ধোনিকেই দিতে হবে। ও অবিশ্বাস্য একজন পারফরমার। বিশ্ব ক্রিকেটে ধোনির মতো ক্রিকেটার খুবই কম আছে।’