ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

পাঁচ কিলোমিটার হাঁটার পর মিলল খাদ্যসহায়তা

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
  • ১৩৩৮ পঠিত

ওই বন্যাদুর্গত নারীর নাম সনেকা বেওয়া (৫৫)। তিনি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের প্রয়াত ইউসুফ আলীর স্ত্রী। ১০ বছর আগে মারা যান ইউসুফ। তবে সরকারি কোনো সুবিধা পান না তিনি। থাকার ঘরটিও জীর্ণশীর্ণ। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোরকমে জীবন যাপন করছেন। করোনার কারণে সেই কাজও বন্ধ। তাই মহাবিপদে পড়েন তিনি। বাড়িতে খাবার না থাকায় রোববার দুপুরে উপজেলা সদরে এসে থানায় হাজির হন তিনি। পরে সনেকার সমস্যার কথা শুনে গুরুদাসপুর থানা–পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও ১ কেজি আলু ও কিছু নগদ টাকা দেওয়া হয়। আবদুল হান্নান নামের একজন এএসআইয়ের মাধ্যমে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় সনেকা বেওয়াকে।

সনেকার অভিযোগ প্রসঙ্গে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা বলেন, সনেকার অবস্থা সম্পর্কে জানা নেই তাঁর। তা ছাড়া সহায়তা পেতে সনেকা তাঁর কাছে কখনো আসেননি।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে অনেক মানুষের। সেই ভুল ধারণা বদলাতে স্বাভাবিক দায়িত্বের বাইরেও মানবিক কাজগুলো করছে পুলিশ। এ দায়িত্ববোধ থেকেই অসহায় সনেকার প্রতি সদয় হয়েছে পুলিশ।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

পাঁচ কিলোমিটার হাঁটার পর মিলল খাদ্যসহায়তা

প্রকাশিত : ০৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০

ওই বন্যাদুর্গত নারীর নাম সনেকা বেওয়া (৫৫)। তিনি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের প্রয়াত ইউসুফ আলীর স্ত্রী। ১০ বছর আগে মারা যান ইউসুফ। তবে সরকারি কোনো সুবিধা পান না তিনি। থাকার ঘরটিও জীর্ণশীর্ণ। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোরকমে জীবন যাপন করছেন। করোনার কারণে সেই কাজও বন্ধ। তাই মহাবিপদে পড়েন তিনি। বাড়িতে খাবার না থাকায় রোববার দুপুরে উপজেলা সদরে এসে থানায় হাজির হন তিনি। পরে সনেকার সমস্যার কথা শুনে গুরুদাসপুর থানা–পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও ১ কেজি আলু ও কিছু নগদ টাকা দেওয়া হয়। আবদুল হান্নান নামের একজন এএসআইয়ের মাধ্যমে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় সনেকা বেওয়াকে।

সনেকার অভিযোগ প্রসঙ্গে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা বলেন, সনেকার অবস্থা সম্পর্কে জানা নেই তাঁর। তা ছাড়া সহায়তা পেতে সনেকা তাঁর কাছে কখনো আসেননি।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে অনেক মানুষের। সেই ভুল ধারণা বদলাতে স্বাভাবিক দায়িত্বের বাইরেও মানবিক কাজগুলো করছে পুলিশ। এ দায়িত্ববোধ থেকেই অসহায় সনেকার প্রতি সদয় হয়েছে পুলিশ।