ঢাকা , শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

বন্যায় ভাসছে গোয়ালন্দের বেতকা-রাখালগাছি

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৭:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
  • ৭৫১ পঠিত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত দেবগ্রাম ইউনিয়নের বেতকা ও রাখালগাছি মৌজা। উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন এ দুই এলাকা এখন পানিতে পদ্মার সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে।

গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড থেকে যানবাহনে প্রথমে দৌলতদিয়া ঘাট। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌযানে দেড় ঘণ্টায় বেতকা। ইঞ্জিনচালিত নৌকার ভটভট শব্দ পেলে সবাই ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে একটু ত্রাণের আশায়। সবার বাড়িতেই পানি। অনেকে পরিবারের গরু-ছাগল পাশের গুচ্ছগ্রামে তুলেছেন।

আবুল ব্যাপারী (৬৮) বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী, দুই ছেলে, ছেলের বউসহ ছয়জনের সংসার। চারদিকে বন্যার পানিতে সবজি বা ফসলের খেত সব তলিয়ে গেছে। কোনোরকম আছি। বড় সমস্যা, কোথাও যেতে পারছি না। বন্যায় সব তলায় যাওয়ায় গোয়ালন্দ যেতে হলে ফিরে আসতে দিন শেষ হয়ে যায়। একবার নৌকায় সকালে গিয়ে ওই নৌকা ফিরে আসে বিকেলে। এ জন্য না খেয়ে থাকলেও কেউ বাইরে যাই না।’

রাখালগাছির মোনেকা বেগম, আলামিনসহ কয়েকজন বলেন, ‘চারদিকে বন্যার পানির কারণে সারা রাত জেগে থাকতে হয়। গরু-ছাগল নিয়ে সবাই চুপচাপ রাতভর জেগে বসে থাকি। রাতে যদি ডাকাত দল এসে হানা দিয়ে নৌকা ভিড়িয়ে সব নিয়ে যায়, তখন তো আমাদের মরা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম জানান, গোয়ালন্দ শহর থেকে এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের নাম হচ্ছে বেতকা ও রাখালগাছি। এর আগেও এলাকার ইউপি সদস্য আবু বক্কারের মাধ্যমে কিছু সাহায্য করা হয়েছে। এলাকার মানুষের অভাবের বিষয়টি ভাবলে এ সাহায্য প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে এসে ইউএনও আমিনুল ইসলাম জানান, বেতকা ও রাখালগাছির মানুষের জন্য আজ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১০০ প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। তবে আরও সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ ছাড়া দেবগ্রামের অন্যান্য এলাকা ও দৌলতদিয়ার মোট ৬৫০ জনকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

বন্যায় ভাসছে গোয়ালন্দের বেতকা-রাখালগাছি

প্রকাশিত : ০৭:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত দেবগ্রাম ইউনিয়নের বেতকা ও রাখালগাছি মৌজা। উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন এ দুই এলাকা এখন পানিতে পদ্মার সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে।

গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড থেকে যানবাহনে প্রথমে দৌলতদিয়া ঘাট। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌযানে দেড় ঘণ্টায় বেতকা। ইঞ্জিনচালিত নৌকার ভটভট শব্দ পেলে সবাই ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে একটু ত্রাণের আশায়। সবার বাড়িতেই পানি। অনেকে পরিবারের গরু-ছাগল পাশের গুচ্ছগ্রামে তুলেছেন।

আবুল ব্যাপারী (৬৮) বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী, দুই ছেলে, ছেলের বউসহ ছয়জনের সংসার। চারদিকে বন্যার পানিতে সবজি বা ফসলের খেত সব তলিয়ে গেছে। কোনোরকম আছি। বড় সমস্যা, কোথাও যেতে পারছি না। বন্যায় সব তলায় যাওয়ায় গোয়ালন্দ যেতে হলে ফিরে আসতে দিন শেষ হয়ে যায়। একবার নৌকায় সকালে গিয়ে ওই নৌকা ফিরে আসে বিকেলে। এ জন্য না খেয়ে থাকলেও কেউ বাইরে যাই না।’

রাখালগাছির মোনেকা বেগম, আলামিনসহ কয়েকজন বলেন, ‘চারদিকে বন্যার পানির কারণে সারা রাত জেগে থাকতে হয়। গরু-ছাগল নিয়ে সবাই চুপচাপ রাতভর জেগে বসে থাকি। রাতে যদি ডাকাত দল এসে হানা দিয়ে নৌকা ভিড়িয়ে সব নিয়ে যায়, তখন তো আমাদের মরা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম জানান, গোয়ালন্দ শহর থেকে এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের নাম হচ্ছে বেতকা ও রাখালগাছি। এর আগেও এলাকার ইউপি সদস্য আবু বক্কারের মাধ্যমে কিছু সাহায্য করা হয়েছে। এলাকার মানুষের অভাবের বিষয়টি ভাবলে এ সাহায্য প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে এসে ইউএনও আমিনুল ইসলাম জানান, বেতকা ও রাখালগাছির মানুষের জন্য আজ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১০০ প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। তবে আরও সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ ছাড়া দেবগ্রামের অন্যান্য এলাকা ও দৌলতদিয়ার মোট ৬৫০ জনকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে।