ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুরের তিন উপজেলার ৫০টি গ্রাম প্লাবিত

  • Fahim Hasan
  • প্রকাশিত : ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
  • ১১৪১ পঠিত

শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৫০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে জাজিরার বড়কান্দি ও দুর্গারহাট এলাকায়। গত তিন দিনে ওই এলাকার ১৫০ হেক্টর কৃষিজমি, ৫০০ মিটার পাকা সড়ক ও ১০টি বসতবাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়েছে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়ন্তী রুপা রায় প্রথম আলোকে বলেন, নড়িয়ার পদ্মা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থান তলিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। নড়িয়া পৌরসভার ২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অন্তত ৯০টি পরিবারের বসতঘরে পানি প্রবেশ করেছে। মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে। তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।

নড়িয়া পৌরসভার শুভগ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বন্যার পানিতে আমাদের পুরো গ্রাম তলিয়ে গেছে। আমার ঘরে পানি প্রবেশ করায় চরম বিপাকে পড়েছি। গবাদিপশু ও পরিবারের শিশু সদস্যদের নিয়ে দুশ্চিন্তা সবচেয়ে বেশি।

জাজিরার পাইনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওহাব মাঝি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাজিরার পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে পাইনপাড়া গ্রামের ৬টি গরু মারা গেছে। আমার দুই শতাধিক হাঁস-মুরগি ভেসে গেছে। এ গ্রামের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।’

পাউবোর শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, ‘নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধের অধিকাংশ স্থানই পানিতে তলিয়ে গেছে। এটা নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। আর যেসব স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।’

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, জোয়ারের সময় পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০-১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বৃহস্পতিবার রাতে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীতে পানির মোট উচ্চতা ছিল ৪৫৭ সেন্টিমিটার।

Tag :

শরীয়তপুরের তিন উপজেলার ৫০টি গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত : ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০

শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৫০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে জাজিরার বড়কান্দি ও দুর্গারহাট এলাকায়। গত তিন দিনে ওই এলাকার ১৫০ হেক্টর কৃষিজমি, ৫০০ মিটার পাকা সড়ক ও ১০টি বসতবাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়েছে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়ন্তী রুপা রায় প্রথম আলোকে বলেন, নড়িয়ার পদ্মা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থান তলিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। নড়িয়া পৌরসভার ২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অন্তত ৯০টি পরিবারের বসতঘরে পানি প্রবেশ করেছে। মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে। তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।

নড়িয়া পৌরসভার শুভগ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বন্যার পানিতে আমাদের পুরো গ্রাম তলিয়ে গেছে। আমার ঘরে পানি প্রবেশ করায় চরম বিপাকে পড়েছি। গবাদিপশু ও পরিবারের শিশু সদস্যদের নিয়ে দুশ্চিন্তা সবচেয়ে বেশি।

জাজিরার পাইনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওহাব মাঝি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাজিরার পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে পাইনপাড়া গ্রামের ৬টি গরু মারা গেছে। আমার দুই শতাধিক হাঁস-মুরগি ভেসে গেছে। এ গ্রামের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।’

পাউবোর শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, ‘নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধের অধিকাংশ স্থানই পানিতে তলিয়ে গেছে। এটা নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। আর যেসব স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।’

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, জোয়ারের সময় পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০-১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বৃহস্পতিবার রাতে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীতে পানির মোট উচ্চতা ছিল ৪৫৭ সেন্টিমিটার।