সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে একজন শিক্ষক ও একজন কৃষক মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অন্যজন কোভিড–১৯–এর উপসর্গে মারা যান।
মৃত শিক্ষকের নাম আবদুল মান্নান (৪২)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাতক্ষীরা শহরের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতেন। অন্যজনের নাম গৌড়র চন্দ্র দাস (৬৫)। তিনি সাতক্ষীরা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মানস কুমার মণ্ডল জানান, শিক্ষক আবদুল মান্নান কয়েক দিন ধরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। একপর্যায়ে ৬ জুলাই তিনি করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে ৭ জুলাই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ৯ জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে আসা প্রতিবেদনে দেখা যায় তাঁর করোনা পজিটিভ। ১০ জুলাই অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নেওয়া হয় হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে তিনি মারা যান।
মানস কুমার মণ্ডল আরও জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কৃষক গৌড়র চন্দ্র দাসকে বুধবার রাতে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তাঁর নমুনা নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার জানান, শিক্ষক আবদুল মান্নানের বাড়ি আগেই লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়েছিল। গৌড়র চন্দ্র দাসের বাড়ি আজ লকডাউন করা হয়। তাঁদের স্বজনদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন ও সৎকার করতে কথা বলা হয়েছে।