বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বিশ্বের মানুষ। এই বিক্ষোভে নানাভাবে অংশ নিচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গনের তারকা, কিংবদন্তিরাও। মাইকেল হোল্ডিং যেমন বলছেন, আইন করে কখনো বর্ণবাদ দূর করা যাবে না। বর্ণবাদ দূর করতে হবে সামাজিকভাবে ।
বর্ণবাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে দুদিন আগে ড্যারেন স্যামি যেমন বলেছেন, আইপিএল খেলতে এসে ভারতীয় সমর্থকদের কাছ থেকে ‘কালু’ গালি শুনেছেন। এত দিন তিনি কালু শব্দটার অর্থ বুঝতেন না। সম্প্রতি কারণটা জেনে বেজায় চটেছেন দুবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী উইন্ডিজ অধিনায়ক। কিন্তু স্যামিকে কেন খেলার মাঠে এই বর্ণবাদের শিকার হতে হলো? বর্ণবাদ ঠেকাতে এখন প্রায় সব খেলাতেই নিয়ম বা আইন আছে। খেলা চলার সময় আয়োজকেরা সেটি বারবার মনে করিয়েও দেন দর্শকদের। আইন থাকার পরও খেলোয়াড়েরা বর্ণবাদী আচরণের শিকার হচ্ছেন।
হোল্ডিং তাই বলছেন, নিয়ম কিংবা আইন করে কখনো বর্ণবাদ ঠেকানো যায় না। তাঁর মতে আইন হচ্ছে ক্ষতের ওপর একটা আবরণমাত্র, যেটি প্রকৃত অবস্থা আড়াল করে। বর্ণবাদ ঠেকাতে হোল্ডিংয়ের মতামত হচ্ছে, ‘ক্রিকেট মাঠে আপনি বর্ণবাদের শিকার হবেন। ক্রিকেট, ফুটবল মাঠ কিংবা যেকোনো জায়গায় মানুষ চিৎকার করে নানা কিছু বলবে। একটি নির্দিষ্ট খেলায় নিয়ম করে বর্ণবাদ দূর করতে পারবেন না। সমাজ থেকেই এটা আগে দূর করতে হবে। সমাজ থেকে আসা মানুষেরাই তো খেলা দেখতে এসে বর্ণবাদী আচরণ করে। খেলা থেকে নয়, এটা আগে দূর করতে সমাজ থেকে।’
৬০ টেস্টে ২৪৯ উইকেট নেওয়া ক্যারিবীয় কিংবদন্তি আরও যোগ করেন, ‘ঠিক আছে, খেলায় অনেক নিয়মকানুন আছে। সেসব মেনেই সবাইকে মাঠে আসতে হয়। কিন্তু এটা হচ্ছে ক্ষতের ওপর একটা প্লাস্টারের (আবরণ) মতো। সমাজের মানুষকে আগে বুঝতে হবে এটা অগ্রহণযোগ্য। যখন আপনি সমাজ থেকে এটা নির্মূল করতে পারবেন দেখবেন খেলাধূলা (বর্ণবাদে) আক্রান্ত হবে না।’
যুগে যুগে নানা দেশে, নানা অঞ্চলে দেখা গেছে বর্ণবৈষম্য। গত কদিনে এই বিষয়টা সামনে এসেছে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর। এ হত্যাকাণ্ডের পর সারা বিশ্ব আবারও ফুঁসে উঠেছে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে।