ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্প পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ইলিশের দামে কিছুটা স্বস্তি

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০
  • ৯৫২ পঠিত

বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। যে কারণে দামও আগের চেয়ে কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর মাছের বাজারে এখন ইলিশের ক্রেতা বেশি।

মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের মাছবাজারে এক কেজির ইলিশ গতকাল সকালে বিক্রি হচ্ছিল সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। আর মাঝারি আকারের ৮০০ গ্রাম ওজনের একেকটি ইলিশের দাম ছিল ৫০০ টাকা। ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায়। মাছ ব্যবসায়ী আনন্দ রাজবংশী বললেন, প্রচুর ইলিশ আসছে। সে কারণে দাম কমেছে। ইলিশের বাড়তি সরবরাহের কারণে অন্য মাছের দাম বেশি চাইলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

মিরপুর ৬ নম্বর বাজার ও কারওয়ান বাজারেও ইলিশের দাম মোটামুটি একই রকম। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে প্রচুর ইলিশ বিক্রি করছেন। তাঁদের কাছে দাম আরেকটু কম। পীরেরবাগ এলাকায় বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম ইলিশ প্রতিটি ৬০০ টাকা চাইলেন, যার ওজন এক কেজি বলে দাবি তাঁর।

আগস্টের শুরুতে এত ইলিশ পাওয়ার কারণ কী, ইলিশের মৌসুম কি শুরু হয়ে গেছে, এই প্রশ্নে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ইলিশের মূল মৌসুম সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস। তবে অনেক সময় নদীতে পানিপ্রবাহ ভালো হলে আগেই ইলিশের মৌসুম শুরু হয়ে হয়। এবারও তাই হচ্ছে। তিনি জানান, আগামী অক্টোবরে ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। আগস্ট থেকেই ইলিশ বেশি পরিমাণে পাওয়া ভালো লক্ষণ।

সাধারণত মৌসুমের শুরুর দিকে বাজারে বড় ইলিশের কেজি হাজার টাকার বেশি থাকে। সংকটকালে সেটা দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। এখন এক কেজির ইলিশ ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যাকে মোটামুটি সহনীয় দামই বলছেন ক্রেতারা। অবশ্য কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মো. সুমন জানালেন, ঈদুল আজহার আগের কয়েক দিন দাম আরেকটু কম ছিল। কারণ, তখন চাহিদা আরও কম ছিল। এখন বেড়েছে।

মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাজার থেকে গতকাল মাছ কিনেছেন স্থানীয় বাসিন্দা আয়নাল হক। মাঝারি আকারের চারটি ইলিশ তিনি ১ হাজার ৬০০ টাকায় কিনেছেন। তিনি বললেন, ‘কয়েক দিন কোরবানির মাংস খাওয়ার পর স্বাদ বদল করতে মাছ কিনতে এসেছি। বাজারে দেখলাম, ইলিশের দামই তুলনামূলক কম।’

ইলিশের দামে তুলনামূলক স্বস্তি থাকলেও সবজির দাম আগের মতোই চড়া। বেশির ভাগ সবজি প্রতি কেজি ৬০ টাকা। কিছুটা কম দামের মধ্যে সবজির তালিকায় রয়েছে মিষ্টিকুমড়া, কেজি ৩০ টাকা। কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।

মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. সুলতান বললেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে সবজির সরবরাহ খুবই কম।

মোটামুটি চড়া ডিম ও কক মুরগির দাম। ঈদের পরে পাড়ার কোনো কোনো দোকানে ডিমের ডজন ১২০ টাকা দরেও বিক্রি হয়েছে। এখন বড় বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। কক মুরগির কেজি ২৬০ টাকা, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৪০ টাকা বেশি। অবশ্য ব্রয়লার মুরগির দাম কম। কেজি ১২০ টাকা।

মিরপুরের বাজারে আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ১৪০ টাকা। কিন্তু কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকানে আদা ১৪০ টাকা দামেই বিক্রি করতে দেখা গেল। পেঁয়াজের প্রতি কেজি দাম ৪০ টাকা ও রসুন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য পণ্যের দামে তেমন কোনো হেরফের নেই।

Tag :
জনপ্রিয়

রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন

ইলিশের দামে কিছুটা স্বস্তি

প্রকাশিত : ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০

বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। যে কারণে দামও আগের চেয়ে কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর মাছের বাজারে এখন ইলিশের ক্রেতা বেশি।

মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের মাছবাজারে এক কেজির ইলিশ গতকাল সকালে বিক্রি হচ্ছিল সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। আর মাঝারি আকারের ৮০০ গ্রাম ওজনের একেকটি ইলিশের দাম ছিল ৫০০ টাকা। ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায়। মাছ ব্যবসায়ী আনন্দ রাজবংশী বললেন, প্রচুর ইলিশ আসছে। সে কারণে দাম কমেছে। ইলিশের বাড়তি সরবরাহের কারণে অন্য মাছের দাম বেশি চাইলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

মিরপুর ৬ নম্বর বাজার ও কারওয়ান বাজারেও ইলিশের দাম মোটামুটি একই রকম। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে প্রচুর ইলিশ বিক্রি করছেন। তাঁদের কাছে দাম আরেকটু কম। পীরেরবাগ এলাকায় বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম ইলিশ প্রতিটি ৬০০ টাকা চাইলেন, যার ওজন এক কেজি বলে দাবি তাঁর।

আগস্টের শুরুতে এত ইলিশ পাওয়ার কারণ কী, ইলিশের মৌসুম কি শুরু হয়ে গেছে, এই প্রশ্নে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ইলিশের মূল মৌসুম সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস। তবে অনেক সময় নদীতে পানিপ্রবাহ ভালো হলে আগেই ইলিশের মৌসুম শুরু হয়ে হয়। এবারও তাই হচ্ছে। তিনি জানান, আগামী অক্টোবরে ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। আগস্ট থেকেই ইলিশ বেশি পরিমাণে পাওয়া ভালো লক্ষণ।

সাধারণত মৌসুমের শুরুর দিকে বাজারে বড় ইলিশের কেজি হাজার টাকার বেশি থাকে। সংকটকালে সেটা দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। এখন এক কেজির ইলিশ ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যাকে মোটামুটি সহনীয় দামই বলছেন ক্রেতারা। অবশ্য কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মো. সুমন জানালেন, ঈদুল আজহার আগের কয়েক দিন দাম আরেকটু কম ছিল। কারণ, তখন চাহিদা আরও কম ছিল। এখন বেড়েছে।

মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাজার থেকে গতকাল মাছ কিনেছেন স্থানীয় বাসিন্দা আয়নাল হক। মাঝারি আকারের চারটি ইলিশ তিনি ১ হাজার ৬০০ টাকায় কিনেছেন। তিনি বললেন, ‘কয়েক দিন কোরবানির মাংস খাওয়ার পর স্বাদ বদল করতে মাছ কিনতে এসেছি। বাজারে দেখলাম, ইলিশের দামই তুলনামূলক কম।’

ইলিশের দামে তুলনামূলক স্বস্তি থাকলেও সবজির দাম আগের মতোই চড়া। বেশির ভাগ সবজি প্রতি কেজি ৬০ টাকা। কিছুটা কম দামের মধ্যে সবজির তালিকায় রয়েছে মিষ্টিকুমড়া, কেজি ৩০ টাকা। কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।

মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. সুলতান বললেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে সবজির সরবরাহ খুবই কম।

মোটামুটি চড়া ডিম ও কক মুরগির দাম। ঈদের পরে পাড়ার কোনো কোনো দোকানে ডিমের ডজন ১২০ টাকা দরেও বিক্রি হয়েছে। এখন বড় বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। কক মুরগির কেজি ২৬০ টাকা, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৪০ টাকা বেশি। অবশ্য ব্রয়লার মুরগির দাম কম। কেজি ১২০ টাকা।

মিরপুরের বাজারে আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ১৪০ টাকা। কিন্তু কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকানে আদা ১৪০ টাকা দামেই বিক্রি করতে দেখা গেল। পেঁয়াজের প্রতি কেজি দাম ৪০ টাকা ও রসুন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য পণ্যের দামে তেমন কোনো হেরফের নেই।