ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঈদের মাসে ১২৭৭৫ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০
  • ৭৭৩ পঠিত

করোনাভাইরাসের মধ্যেও ঈদের মাসে প্রবাসীরা ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের আয় পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১২ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। তবে আগের বছরের মে মাসের চেয়ে আয় কমেছে।

করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকেরা বেকায়দায় পড়েছেন। এরপরও টাকা পাঠাচ্ছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা–সংকট চললেও ঈদের কারণে অনেকেই টাকা পাঠিয়েছেন। আবার যাঁরা দেশে চলে আসছেন, তাঁরাও টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কারণ, বহন করে বেশি টাকা আনা যায় না। এ জন্য কিছু আয় এসেছে। সামনের দিনে প্রবাসী আয় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংক অনানুষ্ঠানিক সূত্র জানায়, গত মে মাসে আয় এসেছে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর ২০১৯ সালের মে মাসে আয় এসেছিল ১৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এ হিসাবে আয় কমেছে ১৪ শতাংশ। তবে পুরো অর্থবছরের হিসাবে আগের চেয়ে আয় বেড়েছে প্রায় ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে বেশির ভাগ দেশে লকডাউন চলছে। এর ফলে প্রবাসী অনেকের আয় বন্ধ হয়ে গেছে, আবার অনেকে দেশে ফিরে এসেছেন।

জানা গেছে, যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসে, সেসব দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রেমিট্যান্স হাউস ও ব্যাংকগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশি শ্রমিকেরাও পড়েছেন বিপদের মুখে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা শ্রমিকেরা। দেশের প্রবাসী আয় আহরণের শীর্ষ ১৫টি উৎস দেশ হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, ইতালি, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও জর্ডান। সম্প্রতি কিছু দেশে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে।

বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সে অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এতে প্রবাসী আয় আসা বেড়ে গিয়েছিল। তবে করোনাভাইরাসের কারণে তাতে বিপর্যয় আসতে যাচ্ছে।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

ঈদের মাসে ১২৭৭৫ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা

প্রকাশিত : ০৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০

করোনাভাইরাসের মধ্যেও ঈদের মাসে প্রবাসীরা ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের আয় পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১২ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। তবে আগের বছরের মে মাসের চেয়ে আয় কমেছে।

করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকেরা বেকায়দায় পড়েছেন। এরপরও টাকা পাঠাচ্ছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা–সংকট চললেও ঈদের কারণে অনেকেই টাকা পাঠিয়েছেন। আবার যাঁরা দেশে চলে আসছেন, তাঁরাও টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কারণ, বহন করে বেশি টাকা আনা যায় না। এ জন্য কিছু আয় এসেছে। সামনের দিনে প্রবাসী আয় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংক অনানুষ্ঠানিক সূত্র জানায়, গত মে মাসে আয় এসেছে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর ২০১৯ সালের মে মাসে আয় এসেছিল ১৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এ হিসাবে আয় কমেছে ১৪ শতাংশ। তবে পুরো অর্থবছরের হিসাবে আগের চেয়ে আয় বেড়েছে প্রায় ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে বেশির ভাগ দেশে লকডাউন চলছে। এর ফলে প্রবাসী অনেকের আয় বন্ধ হয়ে গেছে, আবার অনেকে দেশে ফিরে এসেছেন।

জানা গেছে, যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসে, সেসব দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রেমিট্যান্স হাউস ও ব্যাংকগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশি শ্রমিকেরাও পড়েছেন বিপদের মুখে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা শ্রমিকেরা। দেশের প্রবাসী আয় আহরণের শীর্ষ ১৫টি উৎস দেশ হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, ইতালি, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও জর্ডান। সম্প্রতি কিছু দেশে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে।

বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সে অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এতে প্রবাসী আয় আসা বেড়ে গিয়েছিল। তবে করোনাভাইরাসের কারণে তাতে বিপর্যয় আসতে যাচ্ছে।