কুশিয়ারা নদীর উৎসমুখ ভারতের বরাক মোহনায় সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসিদ থেকে নদীর স্রোতোধারা শুরু। অমলসিদকে কুশিয়ারা নদীর উজান বলা হয়। সেই উজানে শুক্রবার সকাল ৬টা, ৯টা ও দুপুর ১২টায় পানি কমতে দেখা গেছে। তবে একই সময়ে কুশিয়ারার ভাটির দিকের ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেওলা পয়েন্টে পানি বাড়ছে। অপর একটি পয়েন্ট মৌলভীবাজারের শেরপুরে ধীরে ধীরে কমছে এ নদীর পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ‘ডেইলি ওয়াটার লেভেল ডাটা’ সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছেন পাউবোর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার। উৎসমুখে পানি কমায় কুশিয়ারা নদীর উজান এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার একই নদীর ভাটির দিকে পানি বাড়ায় পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে পাউবো।
কুশিয়ারার উৎসমুখে পানি কমলেও বাড়ছিল ভাটির দিকে বিয়ানীবাজারের শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট দিয়ে। শেওলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৩ দশমিক ০৫ থেকে বেড়ে শুক্রবার দুপুরে ১৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। বুধবার থেকে বিপৎসীমা পর্যন্ত পানিপ্রবাহ ছিল। শুক্রবার সকালে পানি বেড়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে দুপুরে ৯ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।
এই তিনটি পয়েন্ট ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি পরিমাপ করা হয় মৌলভীবাজারের শেরপুর পয়েন্টে। সেখানেও পানি কমছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছিল ৮ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। শুক্রবার সকাল ৬টা ও ৯টায়ও অপরিবর্তিত ছিল। তিন ঘণ্টা পর দুপুর ১২টায় সেখানে ৮ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
কুশিয়ারা নদীতে পানি বাড়া ও কমার প্রবণতা থাকলেও কমছে সুরমাসহ অন্য নদীর পানি। সুরমার পানি পরিমাপ করা হয় সিলেট শহর ও কানাইঘাট উপজেলায়। কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার থেকে নেমে শুক্রবার দুপুরে ১৩ দশমিক ১০ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। সেখানে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্ট (শহর) দিয়ে সকালে ১০ দশমিক ৫১ ও দুপুরে ১০ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। সিলেট শহর পয়েন্টে সুরমা নদীর বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।
এ ছাড়া সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদীর সঙ্গে সংযোগ হওয়া সিলেটের সীমান্ত নদী হিসেবে পরিচিতি সারী ও লোভা নদীর পানি কমছে।