ঢাকা , শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

কীভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০
  • ৭৪১ পঠিত

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে শ্বাস-জলীয়কণার মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়ায়। এ ভাইরাস চোখ, নাক বা মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। কাজেই করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ কিছুটা আমাদের হাতেই রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারি, অন্যকেও নিরাপদ রাখতে পারি।

জনস্বাস্থ্যবিধিগুলো খুব সহজ, আপনি যখনই বাড়ির বাইরে কোনো জায়গায় যাবেন তখনই মাস্ক ব্যবহার করুন; ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোন অথবা হাত-স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন (কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড)। বাড়ির বাইরে সবার কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

সমস্যা হচ্ছে, এ ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতার অভাব রয়েছে। যেমন-‘আমি জানিও না, জানতেও চাই না!’ ‘আমি জানি, কিন্তু মানি না, সামাজিক দায়িত্ববোধও নেই!’ ‘আমি জানি, কিন্তু সঠিকভাবে করি না!’ ‘আমি জানি, কিন্তু সঠিকভাবে যথাসময়ে করি না!’ ‘আমি জানি, সঠিকভাবে করি, কিন্তু অন্যদের তা করতে উৎসাহিত করি না!’

‘ল্যানসেটে’ মেডিকেল গবেষণা নিবন্ধে প্রকাশিত বিশ্লেষণসহ আরও অনেক গবেষণায় প্রতীয়মান, মাস্ক ব্যবহার, অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার সঙ্গে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সহায়তা করে। তাই জনসমাগমস্থলে প্রত্যেককে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, মার্কিন সিডিসি)।

এন-৯৫ (কেএন-৯৫/এফএফআর-২) এবং তিন স্তরের মেডিকেল মাস্ক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেডিকেল মাস্কের নমনীয় বেনডেবল প্রান্তটি উপরের দিকে, মাস্কের রঙিন দিকটি (হাইড্রোফোবিক পলিমার) সাধারণত সামনে থাকে এবং ভেতরে নরম শোষণকারী স্তর থাকে।

জনগণের জন্য সাধারণ কাপড়ের মাস্ক পরিধান তাদের ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সহায়ক হবে। প্রত্যেকের জন্য মাস্ক তখনই প্রতিরোধমূলক হবে, যখন সবাই তা সঠিকভাবে ব্যবহার করবে এবং অন্যকে সঠিকভাবে ব্যবহারে উৎসাহিত করবে। মনে রাখতে হবে, মাস্ক পরার আগে সাবান পানি দিয়ে সঠিকভাবে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে বা হ্যান্ড-স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। মাস্কটি সঠিকভাবে অপসারণের পর আবারও হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।

মাস্ক পরার আগে ভালো করে দেখে নিন সেটা ক্ষতিগ্রস্ত বা নোংরা কিনা। মাস্কটি মুখের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরতে হবে। মুখ, নাক ও চিবুক ঢেকে রাখতে হবে।পরার পর মাস্কটি সংক্রমিত বা দূষিত হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না। যদি স্পর্শ করতেই হয় তবে হাত পরিষ্কার করার পর স্পর্শ করবেন।

মাস্কটি খোলার সময় কানের পেছনের স্ট্র্যাপ দিয়ে সরিয়ে ফেলুন। ব্যবহৃত কাপড়ের মাস্কটি ২০ মিনিট গরম সাবান-পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর (অথবা ওয়াশিং মেশিনে) ধুয়ে ফেলুন। পরবর্তী সময়ে পরিষ্কার, শুকনো মাস্কটি পুনরায় ব্যবহার করুন। মাস্ক কখনই নাকের নিচে বা চিবুকের নিচে পরা যাবে না। নোংরা, স্যাঁতসেঁতে বা ভেজা মাস্ক পরা যাবে না। স্যাঁতসেঁতে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাস্কটি বদলে ফেলুন।

প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা পরপর পরিবর্তন করতে পারলে ভালো। দুই বছরের কম বয়সের শিশু এবং যাদের মাস্ক পরলে শ্বাসকার্যের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তাদের মাস্কমুক্ত থাকতে হবে। মাস্কটি সঠিকভাবে পরিধান আপনার সংক্রমিত হওয়া বা অপরকে সংক্রমিত করার ঝুঁকি হ্রাস করে। সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান লক্ষণহীন, প্রাক-লক্ষণযুক্ত এবং লক্ষণযুক্ত রোগী থেকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস করে, যদি অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

কীভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন

প্রকাশিত : ০২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে শ্বাস-জলীয়কণার মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়ায়। এ ভাইরাস চোখ, নাক বা মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। কাজেই করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ কিছুটা আমাদের হাতেই রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারি, অন্যকেও নিরাপদ রাখতে পারি।

জনস্বাস্থ্যবিধিগুলো খুব সহজ, আপনি যখনই বাড়ির বাইরে কোনো জায়গায় যাবেন তখনই মাস্ক ব্যবহার করুন; ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোন অথবা হাত-স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন (কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড)। বাড়ির বাইরে সবার কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

সমস্যা হচ্ছে, এ ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতার অভাব রয়েছে। যেমন-‘আমি জানিও না, জানতেও চাই না!’ ‘আমি জানি, কিন্তু মানি না, সামাজিক দায়িত্ববোধও নেই!’ ‘আমি জানি, কিন্তু সঠিকভাবে করি না!’ ‘আমি জানি, কিন্তু সঠিকভাবে যথাসময়ে করি না!’ ‘আমি জানি, সঠিকভাবে করি, কিন্তু অন্যদের তা করতে উৎসাহিত করি না!’

‘ল্যানসেটে’ মেডিকেল গবেষণা নিবন্ধে প্রকাশিত বিশ্লেষণসহ আরও অনেক গবেষণায় প্রতীয়মান, মাস্ক ব্যবহার, অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার সঙ্গে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সহায়তা করে। তাই জনসমাগমস্থলে প্রত্যেককে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, মার্কিন সিডিসি)।

এন-৯৫ (কেএন-৯৫/এফএফআর-২) এবং তিন স্তরের মেডিকেল মাস্ক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেডিকেল মাস্কের নমনীয় বেনডেবল প্রান্তটি উপরের দিকে, মাস্কের রঙিন দিকটি (হাইড্রোফোবিক পলিমার) সাধারণত সামনে থাকে এবং ভেতরে নরম শোষণকারী স্তর থাকে।

জনগণের জন্য সাধারণ কাপড়ের মাস্ক পরিধান তাদের ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সহায়ক হবে। প্রত্যেকের জন্য মাস্ক তখনই প্রতিরোধমূলক হবে, যখন সবাই তা সঠিকভাবে ব্যবহার করবে এবং অন্যকে সঠিকভাবে ব্যবহারে উৎসাহিত করবে। মনে রাখতে হবে, মাস্ক পরার আগে সাবান পানি দিয়ে সঠিকভাবে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে বা হ্যান্ড-স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। মাস্কটি সঠিকভাবে অপসারণের পর আবারও হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।

মাস্ক পরার আগে ভালো করে দেখে নিন সেটা ক্ষতিগ্রস্ত বা নোংরা কিনা। মাস্কটি মুখের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরতে হবে। মুখ, নাক ও চিবুক ঢেকে রাখতে হবে।পরার পর মাস্কটি সংক্রমিত বা দূষিত হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না। যদি স্পর্শ করতেই হয় তবে হাত পরিষ্কার করার পর স্পর্শ করবেন।

মাস্কটি খোলার সময় কানের পেছনের স্ট্র্যাপ দিয়ে সরিয়ে ফেলুন। ব্যবহৃত কাপড়ের মাস্কটি ২০ মিনিট গরম সাবান-পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর (অথবা ওয়াশিং মেশিনে) ধুয়ে ফেলুন। পরবর্তী সময়ে পরিষ্কার, শুকনো মাস্কটি পুনরায় ব্যবহার করুন। মাস্ক কখনই নাকের নিচে বা চিবুকের নিচে পরা যাবে না। নোংরা, স্যাঁতসেঁতে বা ভেজা মাস্ক পরা যাবে না। স্যাঁতসেঁতে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাস্কটি বদলে ফেলুন।

প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা পরপর পরিবর্তন করতে পারলে ভালো। দুই বছরের কম বয়সের শিশু এবং যাদের মাস্ক পরলে শ্বাসকার্যের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তাদের মাস্কমুক্ত থাকতে হবে। মাস্কটি সঠিকভাবে পরিধান আপনার সংক্রমিত হওয়া বা অপরকে সংক্রমিত করার ঝুঁকি হ্রাস করে। সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান লক্ষণহীন, প্রাক-লক্ষণযুক্ত এবং লক্ষণযুক্ত রোগী থেকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস করে, যদি অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়।