ঢাকা , বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লা নগরে সংক্রমণ কমিয়েছে ‘লকডাউন’

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০
  • ৮১৩ পঠিত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের চারটি ওয়ার্ড রেড জোন (লাল তালিকাভুক্ত এলাকা) ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সেখানে টানা ১৪ দিনের লকডাউন (অবরুদ্ধ) আজ শুক্রবার রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। এই সময়ে এলাকাগুলোতে সংক্রমণের হার কমেছে। আগেই সংক্রমিত বেশির ভাগ ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন। বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন মো. নিয়াতুজ্জামান প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রেসকোর্স, কালিয়াজুরি ও শাসনগাছা এলাকায় ৭৬ জন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তালপুকুরপাড়, ঝাউতলা, বাদুরতলা এলাকায় ১১৮ জন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চর্থা, বজ্রপুর এলাকায় ১১ জন এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর্থা এলাকায় ৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই ২৪৮ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৩ জন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধবিষয়ক কমিটির এক সভায় এই চার ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়। ২০ জুন থেকে এলাকাগুলো লকডাউন ছিল। করোনার সংক্রমণের হার কমে এখন ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ জন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ জন এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন করোনা রোগী রয়েছেন। এসব এলাকায় সুস্থতার হার যেমন বেড়েছে, তেমনি এই সময়ে কেউ মারা যাননি।

জেলা সিভিল সার্জন নিয়াতুজ্জামান জানান, সার্বিকভাবে তাঁরা রেড জোন ঘোষণা ও লকডাউন করার প্রত্যাশিত ফল পেয়েছেন।

বরুড়ায়ও ১২ দিনের লকডাউনে সুফল
এদিকে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সম্মতিতে ২২ জুন থেকে পুরোপুরি লকডাউন হয়। আজ রাত ১২টায় লকডাউন শেষ হচ্ছে। লকডাউনের কারণে জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় এখানে করোনার সংক্রমণ কমে গেছে। এ পর্যন্ত বরুড়ায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১৭ জনের। এর মধ্যে ৭৬ জন সুস্থ হয়েছেন।

বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘হাটবাজারে লোকসমাগম ঠেকাতে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন স্থানীয় লোকজন। আমরা তাঁদের সহযোগিতা করেছি। মানুষ বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়ে ভালোভাবে মেনেছেন। এর সুফলও মিলেছে।’

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

কুমিল্লা নগরে সংক্রমণ কমিয়েছে ‘লকডাউন’

প্রকাশিত : ০৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের চারটি ওয়ার্ড রেড জোন (লাল তালিকাভুক্ত এলাকা) ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সেখানে টানা ১৪ দিনের লকডাউন (অবরুদ্ধ) আজ শুক্রবার রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। এই সময়ে এলাকাগুলোতে সংক্রমণের হার কমেছে। আগেই সংক্রমিত বেশির ভাগ ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন। বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন মো. নিয়াতুজ্জামান প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রেসকোর্স, কালিয়াজুরি ও শাসনগাছা এলাকায় ৭৬ জন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তালপুকুরপাড়, ঝাউতলা, বাদুরতলা এলাকায় ১১৮ জন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চর্থা, বজ্রপুর এলাকায় ১১ জন এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর্থা এলাকায় ৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই ২৪৮ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৩ জন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধবিষয়ক কমিটির এক সভায় এই চার ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়। ২০ জুন থেকে এলাকাগুলো লকডাউন ছিল। করোনার সংক্রমণের হার কমে এখন ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ জন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ জন এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন করোনা রোগী রয়েছেন। এসব এলাকায় সুস্থতার হার যেমন বেড়েছে, তেমনি এই সময়ে কেউ মারা যাননি।

জেলা সিভিল সার্জন নিয়াতুজ্জামান জানান, সার্বিকভাবে তাঁরা রেড জোন ঘোষণা ও লকডাউন করার প্রত্যাশিত ফল পেয়েছেন।

বরুড়ায়ও ১২ দিনের লকডাউনে সুফল
এদিকে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সম্মতিতে ২২ জুন থেকে পুরোপুরি লকডাউন হয়। আজ রাত ১২টায় লকডাউন শেষ হচ্ছে। লকডাউনের কারণে জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় এখানে করোনার সংক্রমণ কমে গেছে। এ পর্যন্ত বরুড়ায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১৭ জনের। এর মধ্যে ৭৬ জন সুস্থ হয়েছেন।

বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘হাটবাজারে লোকসমাগম ঠেকাতে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন স্থানীয় লোকজন। আমরা তাঁদের সহযোগিতা করেছি। মানুষ বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়ে ভালোভাবে মেনেছেন। এর সুফলও মিলেছে।’