ঢাকা , মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামে তিন নদ–নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, চরের মানুষ পানিবন্দী

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
  • ৬৬৫ পঠিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা নদী ও ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৬টি নদ–নদীর মধ্যবর্তী ৪২০টি চরের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সহস্রাধিক বাড়িতে পানি উঠেছে।

পানি উন্নয়ন বিভাগ জানায়, ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৩৩ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ–নদীর পানিও দ্রুত বাড়ছে।

আজ শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২৩ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি ২৬ দশমিক ৮৭ মিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমার নদের পানি ২৬ দশমিক ৫০ মিটার বেড়ে বিপৎসীমা ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চরাঞ্চলগুলোতে পানি উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সহস্রাধিক বাড়িতে পানি উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ইন্দ্রগড়, ধনিরামপুর, শৌলমারী, জালির চর, কাইয়ের চর; বল্লভের খাস ইউনিয়নের ইসলামের চর, চর কৃষ্ণপুর, কামারের চর; নারায়ণপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ নিচু চরাঞ্চল; নুনখাওয়া ইউনিয়নসহ সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এ ছাড়া ভূরুঙ্গামারী, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর ও উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার চলতি মৌসুমের ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতির কবলে পড়েছে পাট, ভুট্টা, সবজি।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় ৩৭ হেক্টরের আউশ, ৯৩ হেক্টর তিল এবং ৬ হেক্টরের মরিচ পানিতে ডুবে গেছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমার এলাকায় ছয়টি ওয়ার্ড নদ–নদীর মধ্যবর্তী স্থানে। ১ হাজার ৫০০ পরিবার পানিবন্দী। দুই শতাধিক বাড়িতে পানি উঠেছে।’

কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, জেলায় সব নদ–নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

কুড়িগ্রামে তিন নদ–নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, চরের মানুষ পানিবন্দী

প্রকাশিত : ১২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা নদী ও ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৬টি নদ–নদীর মধ্যবর্তী ৪২০টি চরের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সহস্রাধিক বাড়িতে পানি উঠেছে।

পানি উন্নয়ন বিভাগ জানায়, ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৩৩ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ–নদীর পানিও দ্রুত বাড়ছে।

আজ শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২৩ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি ২৬ দশমিক ৮৭ মিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমার নদের পানি ২৬ দশমিক ৫০ মিটার বেড়ে বিপৎসীমা ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চরাঞ্চলগুলোতে পানি উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সহস্রাধিক বাড়িতে পানি উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ইন্দ্রগড়, ধনিরামপুর, শৌলমারী, জালির চর, কাইয়ের চর; বল্লভের খাস ইউনিয়নের ইসলামের চর, চর কৃষ্ণপুর, কামারের চর; নারায়ণপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ নিচু চরাঞ্চল; নুনখাওয়া ইউনিয়নসহ সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এ ছাড়া ভূরুঙ্গামারী, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর ও উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার চলতি মৌসুমের ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতির কবলে পড়েছে পাট, ভুট্টা, সবজি।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় ৩৭ হেক্টরের আউশ, ৯৩ হেক্টর তিল এবং ৬ হেক্টরের মরিচ পানিতে ডুবে গেছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমার এলাকায় ছয়টি ওয়ার্ড নদ–নদীর মধ্যবর্তী স্থানে। ১ হাজার ৫০০ পরিবার পানিবন্দী। দুই শতাধিক বাড়িতে পানি উঠেছে।’

কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, জেলায় সব নদ–নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।