পটুয়াখালীর কুয়াকাটার ধুলাসার ইউনিয়নের বড়হর পাড়াম গ্রামে গভীর নলকূপের সঙ্গে লাগানো মোটরের পাইপ দিয়ে ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাস বের হচ্ছে। এই গ্যাস দিয়ে চলছে ওই বাড়ির রান্নার কাজ।
সোমবার বাড়ির মালিক কৃষক নাসির উদ্দিনের বসতভিটায় বসানো গভীর নলকূপ থেকে বুঁদবুঁদ শব্দে গ্যাস উঠতে দেখা যায়। গন্ধ ও চোখ জ্বালা-পোড়া করলে সন্দেহ হয় ওই বাড়ির মালিকের। প্রথমে দিয়াশলাই জ্বালিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হন তিনি। পরে নলকূপের পাইপের সঙ্গে গ্যাস পাইপ স্থাপন করে তার সঙ্গে চুলা সংযোজন করে উদগীরণকৃত গ্যাসেই শুরু করেন পরিবারের রান্নার কাজ।
নাসির উদ্দিন হাওলাদার যুগান্তরকে জানিয়েছেন, রমজানের শেষের দিকে উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগ তার বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপন করে। ওই সময়ে মাটির নিচে নলকূপের পাইপ স্থাপনের সময় ৮০ ফুট গভীর থেকে গ্যাস, বালু ও পানি উপরের দিকে উঠে আসে। এ সময় নলকূপ বসাতে আসা শ্রমিকরা কোনোরকম বসিয়ে চলে যায়।
পরে মঙ্গলবার সকালে নলকূপ থেকে মোটরের সঙ্গে পাইপ সংযোগ দিতে গিয়ে নলকূপের নিচে এক ফুট গর্ত করার পরই পাইপ থেকে গ্যাস বের হতে থাকে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা গ্যাস দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।
নাসির উদ্দিন হাওলাদার জানিয়েছেন, গ্যাস উদগীরণের বিষয়টি পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিবসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি জেনেছি। উদগীরণস্থলে আগুন না জ্বালাবার পরামর্শ দিয়েছি। এ ছাড়া ধুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সার্বিক অবস্থা জেনে একটি রিপোর্ট করতে বলেছি।
ইউএনও আরও বলেন, অনেক সময় পচা জিনিস থেকে মিথুন গ্যাসের সৃষ্টি হয়। যা দিয়ে রান্নার কাজ হয়। তবে সরকারের উচ্চ মহলে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অচিরেই গ্যাসবিষয়ক বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করলে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।