নাটোরের গুরুদাসপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাকীবিল্লাহর বিরুদ্ধে।
ঘর পাইয়ে দিতে প্রত্যেকের কাছ থেকে তিনি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি ঘর পাওয়ার আশায় হতদরিদ্র লোকজন ঋণ নিয়ে ওই চেয়ারম্যানকে টাকা দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু দেড় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মেলেনি আকাঙ্ক্ষিত ঘর।
এ ব্যাপারে ধামাইচ ঈশ্বরপুর গ্রামের শিউলি বেগম জানান, সংরক্ষিত নারী মেম্বার সানোয়ারা বেগমের সামনে ঘর পাওয়ার আশায় মাসিক সুদের ওপর টাকা নিয়ে চেয়ারম্যান বাকীবিল্লাহকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছেন। স্বামী তালাক দেওয়ার পর থেকে স্বামী পরিত্যক্তা শিউলি বেগম দুই মেয়েসহ অভাবী বাবা ছিরু প্রামাণিকের বাড়িতে থাকেন তিনি। অভাবের কারণে একটি মেয়ে দত্তকও দিয়েছেন তিনি। দেড় বছর ধরে চেয়ারম্যানের কাছে ঘুরছেন। আজ-কাল করে সময়ক্ষেপণ করছেন চেয়ারম্যান।
এমন অভিযোগ নওখাদা গ্রামের শাহনাজ, হালিমা, নাজমা, ছকিনা বেগমসহ অন্তত ২০ জন ভুক্তভোগীর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সগুনা ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাকীবিল্লাহ মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়া হয়নি। নিউজ না করাই ভালো; লিখে কী করবেন। তাছাড়া ঘর দিয়েছেন উপজেলা ভূমি অফিস ও নির্বাহী কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, সামনে নির্বাচন। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাউল করিম যুগান্তরকে জানান, সগুনা ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিয়ে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।