ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা চর অঞ্চল গুলোতে আগাম বন্যা ও জলাবন্ধতা দেখা দিয়েছে। বন্যার আশঙ্কায় তিস্তা পাড়ের মানুষ। ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি জলকপাট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন পানি উন্নায়ন বোর্ড।
মঙ্গলবার বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ৮ সেন্টিমিটর নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটর।
জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর চর এলাকা গুলোতে লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধিতে চরের কৃষকরা ভুট্টা নিয়ে বিপাকে আছেন। উজানের পানি ও ভারি বর্ষণের কারণে বন্যা ও জলবন্ধতা দেখা দিয়েছে।
এ দিকে পাটগ্রাম উপজেলায় বুড়িমারী ৭ নং ওয়ার্ডে পানিবন্দি মানুষের খবর পেয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান ঘটনা স্থালে গিয়ে একটি কালভার্টের মুখ কেটে দিলে প্রায় তিনশত পরিবারের জলাবন্ধতা নিয়ন্ত্রণ করেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের লোজ জন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দোয়ানী ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকোশীলী রবিউল ইসলাম জানান, বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার কিছু পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও জেলায় কোনো পরিবার পানি বন্দি নেই। বর্তমানে পানি কমতে শুরু করছে।