ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

নুরুল ইসলাম বেঁচে থাকবেন মানুষের ভালোবাসায়

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০
  • ৭৫১ পঠিত

দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, সততা ও শ্রমের মধ্য দিয়ে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন আজীবন। মেধা আর সততার সঙ্গে পরিশ্রমের মাধ্যমে লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

তারই হাতে গড়া দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে মুঘল হলে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আসর অনুষ্ঠিত এ কুলখানিতে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

তারা বলেন, দেশকে স্বাধীন করতে একদিন যেভাবে হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র, ঠিক সেভাবেই স্বাধীনতার পর নেমে পড়েছিলেন দেশ গড়তে। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য লড়ে গেছেন আজীবন।

মেধা আর সততার সঙ্গে পরিশ্রমের মাধ্যমে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। অর্থনীতির চাকাকে সচল করতে একটার পর একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। মানুষের কল্যাণে ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। তিনি দেহান্তরিত হলেও, বেঁচে থাকবেন তার কৃতির মধ্যে।

নুরুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে এদিন পবিত্র কোরআন পাঁচ খতম দেয়া হয়। অন্যরা আরও কয়েক খতম কোরআন তিলাওয়াত করেন। এছাড়া দরুদ পাঠ, কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও সূরা তেলাওয়াত, কোরআন ও হাদিসের ওপর আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানস্থলেই আদায় করা হয় আসর ও মাগরিবের নামাজ। তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত। এ সময় এক আবেগময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনেক অংশগ্রহণকারীকে চোখের পানিতে মহাল আল্লাহর দরবারে তার জন্য দোয়া করতে দেখা যায়।

কুলখানি ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের ছেলে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামীম ইসলাম, যমুনা গ্রুপের পরিচালক এসএম আবদুল ওয়াদুদ, কামরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন- নুরুল ইসলামের দুই ভাই মো. তাজুল ইসলাম ও মো. সোহরাব উদ্দিন, তার দৌহিত্র নাজেল ইসলাম ও আরশান ইসলাম। এছাড়াও পরিবারের সদস্য ইফতেখার হোসেন তন্ময়, রফিকুল ইসলাম শাকিল, মেহরাজ করিম সিয়াম ও মহিউদ্দিন আহমেদ সাজু অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে ছিলেন- দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, যুগান্তরের উপসম্পাদক আহমেদ দীপু, এহসানুল হক, সিটি এডিটর বিএম জাহাঙ্গীর, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক হোসেন শহীদ মজনু, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক ফাহিম আহমেদসহ যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের কর্মী-সাংবাদিক-কর্মকর্তারা।

কুলখানিতে আরও অংশ নেন- যমুনা গ্রুপের পরিচালক এবিএম শামসুল হাসান, ড. আলমগীর আলম, আশরাফ আলী, আবদুল মালেক ও মাসুদ করিম পাপ্পু। অংশ নেন যমুনা ফিউচার পার্কের অনেক দোকান মালিক ও কর্মচারীও।

দোয়া মাহফিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন যমুনা ফিউচার পার্ক জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইয়াকুব শরীফ। এরপর পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে আখিরাতে মুক্তি লাভে তার জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন মহাখালীর গাউসুল আজম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মিজানুর রহমান।

এ সময় তিনি বলেন, নুরুল ইসলামের প্রথম পরিচয় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। রণাঙ্গনে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি জাতির সূর্যসন্তান। দেশ স্বাধীনের পর রাষ্ট্রে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে দেশকে আজীবন সেবা করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার ফসল আজকের এই যমুনা গ্রুপ। যেখানে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এত মানুষের মধ্যে মহান আল্লাহতায়ালা কারও ইবাদত কবুল করলে তার সওয়াবও পাবেন নুরুল ইসলাম।

তার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নুরুল ইসলামের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও যমুনা গ্রুপকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পরে কোরআন ও হাদিস থেকে আলোচনা করেন মাওলানা ইয়াকুব শরীফ। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ছিলেন দেশের অন্যতম শিল্পপতি। তিনি খুব সাধারণভাবে চলতেন। কাজ ভালোবাসতেন। তিনি হাজার হাজার মানুষকে চাকরি দিয়েছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করছেন।

আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে জান্নাত দান করবেন। যমুনা ফিউচার পার্ক জামে মসজিদের ভিত্তিস্থাপন তিনি নিজ হাতে করেছেন। এছাড়া মসজিদ-মাদ্রাসায় তিনি প্রচুর দান করেছেন।

মাহফিলে আরও জানানো হয়, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম যেদিন মৃত্যুবরণ করেছেন সেদিনই মক্কায় আল-হারাম মসজিদে তার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনা করা হয়।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

নুরুল ইসলাম বেঁচে থাকবেন মানুষের ভালোবাসায়

প্রকাশিত : ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০

দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, সততা ও শ্রমের মধ্য দিয়ে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন আজীবন। মেধা আর সততার সঙ্গে পরিশ্রমের মাধ্যমে লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

তারই হাতে গড়া দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে মুঘল হলে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আসর অনুষ্ঠিত এ কুলখানিতে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

তারা বলেন, দেশকে স্বাধীন করতে একদিন যেভাবে হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র, ঠিক সেভাবেই স্বাধীনতার পর নেমে পড়েছিলেন দেশ গড়তে। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য লড়ে গেছেন আজীবন।

মেধা আর সততার সঙ্গে পরিশ্রমের মাধ্যমে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। অর্থনীতির চাকাকে সচল করতে একটার পর একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। মানুষের কল্যাণে ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। তিনি দেহান্তরিত হলেও, বেঁচে থাকবেন তার কৃতির মধ্যে।

নুরুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে এদিন পবিত্র কোরআন পাঁচ খতম দেয়া হয়। অন্যরা আরও কয়েক খতম কোরআন তিলাওয়াত করেন। এছাড়া দরুদ পাঠ, কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও সূরা তেলাওয়াত, কোরআন ও হাদিসের ওপর আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানস্থলেই আদায় করা হয় আসর ও মাগরিবের নামাজ। তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত। এ সময় এক আবেগময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনেক অংশগ্রহণকারীকে চোখের পানিতে মহাল আল্লাহর দরবারে তার জন্য দোয়া করতে দেখা যায়।

কুলখানি ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের ছেলে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামীম ইসলাম, যমুনা গ্রুপের পরিচালক এসএম আবদুল ওয়াদুদ, কামরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন- নুরুল ইসলামের দুই ভাই মো. তাজুল ইসলাম ও মো. সোহরাব উদ্দিন, তার দৌহিত্র নাজেল ইসলাম ও আরশান ইসলাম। এছাড়াও পরিবারের সদস্য ইফতেখার হোসেন তন্ময়, রফিকুল ইসলাম শাকিল, মেহরাজ করিম সিয়াম ও মহিউদ্দিন আহমেদ সাজু অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে ছিলেন- দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, যুগান্তরের উপসম্পাদক আহমেদ দীপু, এহসানুল হক, সিটি এডিটর বিএম জাহাঙ্গীর, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক হোসেন শহীদ মজনু, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক ফাহিম আহমেদসহ যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের কর্মী-সাংবাদিক-কর্মকর্তারা।

কুলখানিতে আরও অংশ নেন- যমুনা গ্রুপের পরিচালক এবিএম শামসুল হাসান, ড. আলমগীর আলম, আশরাফ আলী, আবদুল মালেক ও মাসুদ করিম পাপ্পু। অংশ নেন যমুনা ফিউচার পার্কের অনেক দোকান মালিক ও কর্মচারীও।

দোয়া মাহফিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন যমুনা ফিউচার পার্ক জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইয়াকুব শরীফ। এরপর পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে আখিরাতে মুক্তি লাভে তার জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন মহাখালীর গাউসুল আজম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মিজানুর রহমান।

এ সময় তিনি বলেন, নুরুল ইসলামের প্রথম পরিচয় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। রণাঙ্গনে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি জাতির সূর্যসন্তান। দেশ স্বাধীনের পর রাষ্ট্রে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে দেশকে আজীবন সেবা করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার ফসল আজকের এই যমুনা গ্রুপ। যেখানে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এত মানুষের মধ্যে মহান আল্লাহতায়ালা কারও ইবাদত কবুল করলে তার সওয়াবও পাবেন নুরুল ইসলাম।

তার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নুরুল ইসলামের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও যমুনা গ্রুপকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পরে কোরআন ও হাদিস থেকে আলোচনা করেন মাওলানা ইয়াকুব শরীফ। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ছিলেন দেশের অন্যতম শিল্পপতি। তিনি খুব সাধারণভাবে চলতেন। কাজ ভালোবাসতেন। তিনি হাজার হাজার মানুষকে চাকরি দিয়েছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করছেন।

আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে জান্নাত দান করবেন। যমুনা ফিউচার পার্ক জামে মসজিদের ভিত্তিস্থাপন তিনি নিজ হাতে করেছেন। এছাড়া মসজিদ-মাদ্রাসায় তিনি প্রচুর দান করেছেন।

মাহফিলে আরও জানানো হয়, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম যেদিন মৃত্যুবরণ করেছেন সেদিনই মক্কায় আল-হারাম মসজিদে তার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনা করা হয়।