রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের চার সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে থানার ভেতর এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিরা হলেন পল্লবী থানার পরিদর্শক (অভিযান) ইমরানুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) সজিব আহমেদ, উপপরিদর্শক (এসআই) রুমি, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অঙ্কুর চন্দ্র ও বেসামরিক ব্যক্তি রিয়াদ।
রুমি ও রিয়াদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইমরানুল ও সজিব ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। অঙ্কুর জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ব্লকের আবাসিক সার্জন আলাউদ্দিন জানান, রুমির বাম হাতে স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে। রিয়াদের হাতে আঘাত আছে। তাঁর শরীরও ঝলসে গেছে। ইমরানুলের পায়ে স্প্লিন্টারের আঘাত ও সজিবের কানে শব্দের আঘাত লেগেছে। এ ছাড়া অঙ্কুরের চোখে আঘাত লেগেছে। তাঁকে জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। আহত সবাই আশঙ্কামুক্ত।
ডিএমপির মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে পল্লবী থানা-পুলিশ একটি অভিযান চালায়। অভিযানে তিন ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন। তাঁদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি গুলি ও একটি ডিজিটাল ওয়েট মেশিনের মতো ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। সেগুলো থানার ডিউটি অফিসারের রুমে রাখা হয়। আজ সকালে ডিজিটাল ওয়েট মেশিনের মতো ডিভাইসটি বিস্ফোরিত হয়।
ডিএমপির একটি সূত্রের ভাষ্য, গ্রেপ্তার তিনজন শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত বাহিনীর সহযোগী। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, স্থানীয় এক রাজনীতিককে হত্যার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।
ডিএমপির মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাদিয়া ফারজানা জানান, বিস্ফোরণের ঘটনার পর বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে যান।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) জাতীয় কিছু বিস্ফোরিত হয়েছে।