ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

পা রাখারও জায়গা নেই ফেরিতে, শিমুলিয়াঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০
  • ৭৭৩ পঠিত

শনিবার (৩০ মে) সকাল থেকে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ভিড় লেগে আছে ঢাকায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের। ভোরের আলো ফুটতেই ঘাটে আসতে শুরু করেছেন লোকজন।
লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরিই এখন একমাত্র অবলম্বন। তাই গাদাগাদি করে হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে করেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি, চরম দুর্ভোগ আর অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয় করেই কর্মস্থলে যাত্রা করেছেন তারা। আগামী কাল রোববার (৩১ মে) খুলে যাবে অফিস। তাই শেষ সময়ে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। সকাল থেকে ১৫টি ফেরি দিয়ে সার্ভিস সচল রাখা হয়েছে। ফেরিগুলো হরদম পার করছে গাড়ি।

এদিকে সকাল থেকে পদ্মা কিছুটা উত্তাল। প্রচুর বাতাস রয়েছে। আজ দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। কাঁঠালবাড়ি থেকে ফেরিগুলো কানায় কানায় পূর্ণ করে হাজার হাজার লোক আসছে। পা রাখার জায়গা থাকছে না কোনো ফেরিতে।

এদিকে, এখনও সচল হয়নি গণপরিবহন। যাত্রীদের অবর্ণনীয় কষ্ট করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। তারা পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়ায় এসে যানবাহন না পেয়ে পড়ছেন বিপাকে। ব্যাগ, ছোট ছেলেমেয়ে কোলে করে হেঁটে রওয়ানা দিয়েছেন কেউ কেউ। এছাড়া গাদাগাদি করে ৪-৫ গুণ বেশি ভাড়ায় সিএনজি, অটো, মোটরসাইকেল, পিকাপ, ট্রাক, ছোটগাড়ি কিংবা মাইক্রোবাস ভাড়া করে গন্তব্যে রওয়ানা দিয়েছেন যাত্রীরা।

এর বাইরে বড় ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকেও যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এরপরও আবার বিপত্তি ঘটায় ট্রাফিক পুলিশ। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া ভাড়ার গাড়ি চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা ভাড়ার গাড়িগুলো আটকে দেয়। এতে যাত্রীরা ভয়াবহ যানবাহন সংকটে পড়ে।

বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট ম্যানেজার সাফায়েত হোসেন বলেন, ১৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি। যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি কোনোটাই মানছেন না। যেন কার আগে কে ফেরিতে উঠবে এই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, স্পিডবোট কিংবা ট্রলার পদ্মায় চলছে না। আমরা সতর্ক পাহারায় আছি। সার্বক্ষণিক নদীতে অভিযান চলছে। শনিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নামে। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া ভাড়ার গাড়ি চলাচল নিষেধ থাকায় আমরা বেশ কিছু মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার জব্দ করেছি।

জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

পা রাখারও জায়গা নেই ফেরিতে, শিমুলিয়াঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল

প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০

শনিবার (৩০ মে) সকাল থেকে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ভিড় লেগে আছে ঢাকায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের। ভোরের আলো ফুটতেই ঘাটে আসতে শুরু করেছেন লোকজন।
লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরিই এখন একমাত্র অবলম্বন। তাই গাদাগাদি করে হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে করেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি, চরম দুর্ভোগ আর অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয় করেই কর্মস্থলে যাত্রা করেছেন তারা। আগামী কাল রোববার (৩১ মে) খুলে যাবে অফিস। তাই শেষ সময়ে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। সকাল থেকে ১৫টি ফেরি দিয়ে সার্ভিস সচল রাখা হয়েছে। ফেরিগুলো হরদম পার করছে গাড়ি।

এদিকে সকাল থেকে পদ্মা কিছুটা উত্তাল। প্রচুর বাতাস রয়েছে। আজ দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। কাঁঠালবাড়ি থেকে ফেরিগুলো কানায় কানায় পূর্ণ করে হাজার হাজার লোক আসছে। পা রাখার জায়গা থাকছে না কোনো ফেরিতে।

এদিকে, এখনও সচল হয়নি গণপরিবহন। যাত্রীদের অবর্ণনীয় কষ্ট করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। তারা পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়ায় এসে যানবাহন না পেয়ে পড়ছেন বিপাকে। ব্যাগ, ছোট ছেলেমেয়ে কোলে করে হেঁটে রওয়ানা দিয়েছেন কেউ কেউ। এছাড়া গাদাগাদি করে ৪-৫ গুণ বেশি ভাড়ায় সিএনজি, অটো, মোটরসাইকেল, পিকাপ, ট্রাক, ছোটগাড়ি কিংবা মাইক্রোবাস ভাড়া করে গন্তব্যে রওয়ানা দিয়েছেন যাত্রীরা।

এর বাইরে বড় ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকেও যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এরপরও আবার বিপত্তি ঘটায় ট্রাফিক পুলিশ। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া ভাড়ার গাড়ি চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা ভাড়ার গাড়িগুলো আটকে দেয়। এতে যাত্রীরা ভয়াবহ যানবাহন সংকটে পড়ে।

বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট ম্যানেজার সাফায়েত হোসেন বলেন, ১৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি। যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি কোনোটাই মানছেন না। যেন কার আগে কে ফেরিতে উঠবে এই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, স্পিডবোট কিংবা ট্রলার পদ্মায় চলছে না। আমরা সতর্ক পাহারায় আছি। সার্বক্ষণিক নদীতে অভিযান চলছে। শনিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নামে। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া ভাড়ার গাড়ি চলাচল নিষেধ থাকায় আমরা বেশ কিছু মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার জব্দ করেছি।