করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সব ধরনের বাস-মিনিবাসে ৮০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি সুপারিশের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম ঐক্য ফ্রন্ট।
শনিবার দুপুর ১২টায় এক অনলাইন সভায় মিলিত হয়ে বাস ভাড়া বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ জানান সংগঠনটির নেতারা।
এতে অংশ নেন বাম ঐক্য ফ্রন্টের সমন্বয়ক, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন আহম্মদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের-বাসদ (মাহবুব) আহ্বায়ক সন্তোষ গুপ্ত, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার মুর্শেদ, গণমুক্তি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা রাজা মিয়া ও কমিউনিস্ট ইউনিয়নের আহ্বায়ক ইমাম গাজ্জালী, বাসদের (মাহবুব) কেন্দ্রীয় নেতা মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনাভাইরাস সঙ্কটে দুই মাস বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। এই সঙ্কটকালে বাস চালুর পর ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিআরটিএর গণপরিবহণ ভাড়া নির্ধারণ কমিটি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রতিটি বাসে ৫০ ভাগ সিট খালি থাকবে বলে ভাড়া সমন্বয় করতেই এই নতুন ভাড়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান ইউসূব আলী মোল্লা। করোনাভাইরাস সঙ্কটে লকডাউন খুলে দিয়ে গণপরিবহন চালু এবং বাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশের তীব্র প্রতিবাদ জানান নেতৃবৃন্দ।
তারা আরও বলেন, ভাড়া নির্ধারণ করে সরকারের ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি। ৩০ শতাংশ আসন খালি ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। করোনার কারণে ৫০ শতাংশ আসন খালি রাখার শর্ত দেয়া হয়েছে। এ হিসেবে ২০ ভাগ আসন বেশি খালি রাখতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সংকটকালে ২০ শতাংশ আসনের জন্য ভাড়া দ্বিগুণ করার শর্ত আদৌ যৌক্তিক হতে পারে না। ইতিপূর্বে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে দফায় দফায় বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তেলের দাম কমলেও কখনো বাসের ভাড়া কমনোর কোনো উদাহরণ নেই।
ভাড়া বৃদ্ধি না করে সড়কে পুলিশের চাঁদাবাজি এবং শ্রমিকদের কল্যাণের নামে বিভিন্ন শ্রমিক-মালিক সমিতির ব্যানারে চাঁদা আদায় বন্ধ করারও জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতারা। তারা বলেন, লিবিয়াসহ মধপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অভিবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা এক চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন পার করছে। অভিবাসী এই শ্রমিকদের দেখভাল ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাংলাদেশের দূতাবাস ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। অথচ তারা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। হাজার হাজার অভিযোগ করার পরও দূতাবাসের কোনো ভূমিকা দেখা যায় না।
নেতৃবৃন্দ অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধান, তাদের খাদ্য, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ এবং আটক শ্রমিকদের মুক্ত করে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।