ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

লিবিয়ায় নিহতদের মরদেহ বাংলাদেশে আনা যাবে না

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০
  • ৮১৪ পঠিত

লিবিয়ায় অপহরণকারীদের গুলিতে মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের মরদেহ মিজদাতেই দাফন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাস।

দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানান, নিহতদের পরিবারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে মিজদা শহরেই মরদেহগুলো দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো বলেন, ‘লাশগুলো মিজদায় দাফন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই এটা মেনে নিতেই হবে।’ মিজদার একটি হাসপাতালে বর্তমানে লাশগুলো রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া যুদ্ধকবলিত এলাকা হওয়ায় এবং লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরের এলাকা হওয়ায় রাজধানী ত্রিপোলির সাথে মিজদা শহরের যোগাযোগের ব্যবস্থাও বেশ খারাপ বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।

আর করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সব ধরণের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় লাশগুলো মিজদা শহর থেকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এসব প্রতিকূল পরিবেশের কারণে লাশ হস্তান্তর করার বা লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি। তাই এ অবস্থায় এখানেই লাশগুলো দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং নিহতদের পরিবারের সাথে কথা হচ্ছে বলেও জানান আশরাফুল।

বৃহস্পতিবার সকালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের মিজদা অঞ্চলে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হন আরো ১১ জন বাংলাদেশি। তারা সবাই অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পারি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেনগাজি থেকে উপকূলবর্তী যুওয়ারা অঞ্চলে যাওয়ার পথে অপহরণকারীদের কবলে পড়েন তারা।

এরপর ২৮শে মে সকালে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জন মারা যায় বলে জানায় লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

লিবিয়ায় নিহতদের মরদেহ বাংলাদেশে আনা যাবে না

প্রকাশিত : ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০

লিবিয়ায় অপহরণকারীদের গুলিতে মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের মরদেহ মিজদাতেই দাফন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাস।

দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানান, নিহতদের পরিবারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে মিজদা শহরেই মরদেহগুলো দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো বলেন, ‘লাশগুলো মিজদায় দাফন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই এটা মেনে নিতেই হবে।’ মিজদার একটি হাসপাতালে বর্তমানে লাশগুলো রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া যুদ্ধকবলিত এলাকা হওয়ায় এবং লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরের এলাকা হওয়ায় রাজধানী ত্রিপোলির সাথে মিজদা শহরের যোগাযোগের ব্যবস্থাও বেশ খারাপ বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।

আর করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সব ধরণের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় লাশগুলো মিজদা শহর থেকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এসব প্রতিকূল পরিবেশের কারণে লাশ হস্তান্তর করার বা লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি। তাই এ অবস্থায় এখানেই লাশগুলো দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং নিহতদের পরিবারের সাথে কথা হচ্ছে বলেও জানান আশরাফুল।

বৃহস্পতিবার সকালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের মিজদা অঞ্চলে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হন আরো ১১ জন বাংলাদেশি। তারা সবাই অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পারি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেনগাজি থেকে উপকূলবর্তী যুওয়ারা অঞ্চলে যাওয়ার পথে অপহরণকারীদের কবলে পড়েন তারা।

এরপর ২৮শে মে সকালে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জন মারা যায় বলে জানায় লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার।