শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটের লঞ্চগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবারও (৪ জুন) অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করে লঞ্চগুলো। তাই যাত্রীরা রয়েছে কোভিড-১৯ ঝুঁকির মধ্যে। এই রুটে ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে। বুধবার দেখা যায় কাঁঠালবাড়ি থেকে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে আসছে লঞ্চগুলো। কিন্তু এই অনিয়ম দেখার যেন নেই কেউ।
শিমুলিয়া নদী বন্দরের পোর্ট অফিসার মো.শাহ আলম বলেন, আমরাতো মাইকিং করছি। চেষ্টা চালাচ্ছি। যাত্রীরা সচেতন না হলেতো সমস্যা। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, লোকজন কথা, না শুনলে কী করবো?
এদিকে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে মঙ্গলবার ৯টি লঞ্চকে ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর কিছু সময়ের জন্য এই অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের লোকজন চলে যাওয়ার পরই আবার লঞ্চগুলো নিয়ম মানছে না।
লঞ্চ যাত্রীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাসে নিরাপদ দূরত্বে আসলেও পদ্মা পার হতে গিয়েই এই বিড়ম্বনা। আমরা ভেবেছিলাম নৌপথে নিরাপদ দূরত্ব আরও সহজ হবে, কিন্তু বাস্তবে ভিন্ন দৃশ্য। ফেরিতে খোলা আকাশের নিচে পার হতে গেলেও গাদাগাদি, স্পিডবোটেও একই অবস্থা। আর লঞ্চেও ভিড়।
লঞ্চঘাটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা বিআইডব্লিউটিএ’র কোনো কর্মকর্তাকেই দেখা যায়নি।
লঞ্চ সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, লঞ্চগুলো লোকাল যাত্রী পরিবহন করে থাকে। আর প্রতিদিনই নির্দিষ্ট লঞ্চ থাকে বড় বড় কোম্পানির বাসের যাত্রীদের পার করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বাস কোম্পানিগুলো অর্থ সাশ্রয় করতে লোকাল লঞ্চের যাত্রীদের সাথেই একত্রিত করে দিচ্ছে। এজন্য ভিড় আরও বাড়ছে। এখানে পদ্মা এখন উত্তাল। গত বছরের এই দিনের চেয়ে পদ্মার পানি ১.১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। আর স্রোতের গতিও বেশী। প্রতি সেকেন্ডে স্রোতের গতি প্রায় দেড় মিটার। পদ্মায় কিছু পড়ে গেলে এক সেকেন্ডের মধ্যে ৫ ফুট দূরে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত যাত্রীবহনে করোনা ঝুঁকি ছাড়াও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি লঞ্চ রুটের লঞ্চ মালিক সমিতির শিমুলিয়া ঘাটের সমন্বয়কারী মো. ইকবাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যাত্রীদের গুনে গুনে উঠানো হচ্ছে। ধারণ ক্ষমতার বেশী যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে না।