চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ শেরপুর জেলায় নতুন করে আরও ১০ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।তিনদিন পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগার থেকে গতকাল মঙ্গলবার শেরপুর জেলার নমুনা পরীক্ষার এ প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। 

এ নিয়ে জেলায় কোভিড–১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৪ জনে।

জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শেরপুর সদরের ছয়জন, ঝিনাইগাতীর তিনজন এবং শ্রীবরদী উপজেলার একজন রয়েছেন। এর মধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলার একজন চিকিৎসক ও একজন সাংবাদিক এবং শেরপুর সদর উপজেলার সাত বছরের এক শিশু রয়েছে। জেলায় এই প্রথম একজন সাংবাদিক করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেন। তিনি স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক।

জেলা সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোবারক হোসেন গতকাল রাতে প্রথম আলোকে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সামাজিক সংস্পর্শের কারণেই ওই ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্তদের সবাই বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন। তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, শেরপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ৫ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুই নারীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর দুই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ জনে। এর মধ্যে শেরপুর সদরে ৫০ জন, শ্রীবরদীতে ১১ জন , ঝিনাইগাতীতে ১০ জন, নকলায় ১১ জন এবং নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১২ জন রয়েছেন।মারা গেছেন একজন। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৫১ জন।
তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে সাতজন চিকিৎসকসহ ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ২৪ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।