ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

সবাই ছিলেন ভয়ে, এগিয়ে এলেন চেয়ারম্যান

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০
  • ৭১৯ পঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় জ্বর, কাশি নিয়ে হোসেন মিয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তি শুক্রবার সকালে মারা যান। উপসর্গগুলো করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মতো হওয়ায় লাশ দাফনে ভয় পাচ্ছিলেন স্বজন, পাড়াপড়শি সবাই। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেন।

মারা যাওয়া হোসেন মিয়া কসবার বায়েক ইউনিয়নের কোনাঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে তিনি জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। এ অবস্থায় করোনা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর নমুনা জমা দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার আগেই শুক্রবার সকাল ৯টায় তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। লাশ দাফনে আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শি বা গ্রামবাসী কেউ রাজি হননি। এ অবস্থায় খবর যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুলের কাছে। পরে তিনি ওই গ্রামে গিয়ে বেলা ৩টার দিকে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। তখন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্বজনেরা।

রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া বলেন, ‘করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে হোসেন মিয়ার মৃত্যু হয়েছে ভেবে গ্রামের লোকজন লাশ দাফনে ভয় পাচ্ছিলেন। আমি খবর পেয়ে ওখানে যাই। গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সহায়তায় লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেছি।’

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

সবাই ছিলেন ভয়ে, এগিয়ে এলেন চেয়ারম্যান

প্রকাশিত : ০৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় জ্বর, কাশি নিয়ে হোসেন মিয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তি শুক্রবার সকালে মারা যান। উপসর্গগুলো করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মতো হওয়ায় লাশ দাফনে ভয় পাচ্ছিলেন স্বজন, পাড়াপড়শি সবাই। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেন।

মারা যাওয়া হোসেন মিয়া কসবার বায়েক ইউনিয়নের কোনাঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে তিনি জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। এ অবস্থায় করোনা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর নমুনা জমা দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার আগেই শুক্রবার সকাল ৯টায় তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। লাশ দাফনে আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শি বা গ্রামবাসী কেউ রাজি হননি। এ অবস্থায় খবর যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুলের কাছে। পরে তিনি ওই গ্রামে গিয়ে বেলা ৩টার দিকে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। তখন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্বজনেরা।

রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া বলেন, ‘করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে হোসেন মিয়ার মৃত্যু হয়েছে ভেবে গ্রামের লোকজন লাশ দাফনে ভয় পাচ্ছিলেন। আমি খবর পেয়ে ওখানে যাই। গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সহায়তায় লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেছি।’