ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্প পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সৈয়দ আবুল মকসুদের দাফন সম্পন্ন

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১১৩৫ পঠিত

সর্বজনের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার কিছুক্ষণ আগে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বিকাল বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার সর্বশেষ জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন।

এরপর সৈয়দ আবুল মকসুদের মেয়ে জিহাদ মকসুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছান। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মাগরিবের নামাজের পর আজিমপুর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

জানাজায় অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তেল গ্যাস রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকী, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল, গ্রিন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব মিহির বিশ্বাস, মহাত্মা গান্ধী স্মারক সদস্যদের সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন, নোঙ্গরের পরিচালক শামস সুমন, সৈয়দ আবুল মকসুদের ছেলে সৈয়দ নাফিস মকসুদ ও তার শুভাকাঙ্খীরা।

এর আগে বিকেল ৩টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সৈয়দ আবুল মকসুদের মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে তাকে আচ্ছাদিত করেন। তারপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, দুপুর আড়াইটায় তার মরদেহ স্কয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হয়। সেখানে সাংবাদিকরা শ্রদ্ধা জানানোর পর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ আবুল মকসুদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর। তিনি তার গবেষণাধর্মী প্রবন্ধের জন্য সুপরিচিত। তার প্রবন্ধগুলো দেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়। তিনি বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবনী ও কর্ম নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন। পাশাপাশি কাব্যচর্চাও করেছেন। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশের বেশি। জার্নাল অব জার্মানি- তার লেখা ভ্রমণকাহিনী। বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

Tag :
জনপ্রিয়

রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন

সৈয়দ আবুল মকসুদের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত : ১১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সর্বজনের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার কিছুক্ষণ আগে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বিকাল বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার সর্বশেষ জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন।

এরপর সৈয়দ আবুল মকসুদের মেয়ে জিহাদ মকসুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছান। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মাগরিবের নামাজের পর আজিমপুর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

জানাজায় অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তেল গ্যাস রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকী, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল, গ্রিন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব মিহির বিশ্বাস, মহাত্মা গান্ধী স্মারক সদস্যদের সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন, নোঙ্গরের পরিচালক শামস সুমন, সৈয়দ আবুল মকসুদের ছেলে সৈয়দ নাফিস মকসুদ ও তার শুভাকাঙ্খীরা।

এর আগে বিকেল ৩টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সৈয়দ আবুল মকসুদের মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে তাকে আচ্ছাদিত করেন। তারপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, দুপুর আড়াইটায় তার মরদেহ স্কয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হয়। সেখানে সাংবাদিকরা শ্রদ্ধা জানানোর পর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ আবুল মকসুদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর। তিনি তার গবেষণাধর্মী প্রবন্ধের জন্য সুপরিচিত। তার প্রবন্ধগুলো দেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়। তিনি বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবনী ও কর্ম নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন। পাশাপাশি কাব্যচর্চাও করেছেন। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশের বেশি। জার্নাল অব জার্মানি- তার লেখা ভ্রমণকাহিনী। বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।