ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

৭৫ দিন পর মহদিপুর- সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বাণিজ্য শুরু

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
  • ৭৬৮ পঠিত

লকডাউনের কারণে ৭৫ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে মহদিপুর- সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের মহদিপুর ও বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত পথে পণ্য বোঝাই ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে।

প্রথম দিনেই ভুট্টা, পেঁয়াজ, ফল, গবাদিপশু ও হাঁস–মুরগির খাবারের ৮৬টি পণ্য বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকেছে। এখন থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২০০টি করে পণ্য বোছাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।

মহদিপুর এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা সমীর ঘোষ আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনার কারণে টানা ৭৫ দিন সীমান্ত বন্ধ ছিল। গতকাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরু হয়েছে । প্রথম দিনে ৮৬টি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকেছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে একটিও পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে ঢোকেনি।’

সমীর ঘোষ জানান, প্রতিদিন এই স্থলবন্দর থেকে ২০০টি করে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যাবে। এতদিন বন্ধ থাকার কারণে মহদিপুর সীমান্তে সাড়ে ৪ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে। এসব ট্রাকের বেশির ভাগ পাথর বোঝাই। এসব পাথর আসে মহদিপুরের কাছে ঝাড়খন্ড রাজ্যের পাকুর ও সাহেবগঞ্জ থেকে। যদিও এখন পাথর রপ্তানির চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য ও ফলমূলের ওপর। প্রতি বছর এই সীমান্ত পথে ৩ হাজার কোটি রুপির বাণিজ্য হয়।

সমীর ঘোষ বলেন, এই সীমান্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পণ্যবাহী ট্রাক আসার পর তা বাংলাদেশের সোনামসজিদ সীমান্তে গিয়ে পণ্য খালাস করে। এই লক্ষ্যে এখানে ৫০ জন চালক নিয়ে গড়া হয়েছে একেকটি দল। তাঁরা এই সীমান্তে আসা পণ্যবাহী ট্রাককে সোনাসজিদের পার্কিংজোনে পৌছে দিয়ে পায়ে হেঁটে চলে আসবেন মহদিপুরে। পণ্য খালাস হওয়ার পর খবর দেওয়া হলে আবার গিয়ে ট্রাক নিয়ে আসবেন। এই ৫০ জন চালকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে মহদিপুর সীমান্তেই। ৫০ জনের একটি দল একটানা ১৫দিন সীমান্তের পণ্যবাহী ট্রাক চালাবেন। এর পর আবার ১৫ দিন থাকবেন সীমান্তের কোয়ারিন্টন সেন্টারে। এভাবে চলবে প্রথম দলের কাজ। এরপর আবার যোগ দেবেন ৫০ জন ট্রাক চালকের দ্বিতীয় দলটি। এভাবে চলবে সীমান্তের পণ্য বাহী ট্রাক আনা–নেওয়ার কাজ।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

৭৫ দিন পর মহদিপুর- সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বাণিজ্য শুরু

প্রকাশিত : ০৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০

লকডাউনের কারণে ৭৫ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে মহদিপুর- সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের মহদিপুর ও বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত পথে পণ্য বোঝাই ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে।

প্রথম দিনেই ভুট্টা, পেঁয়াজ, ফল, গবাদিপশু ও হাঁস–মুরগির খাবারের ৮৬টি পণ্য বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকেছে। এখন থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২০০টি করে পণ্য বোছাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।

মহদিপুর এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা সমীর ঘোষ আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনার কারণে টানা ৭৫ দিন সীমান্ত বন্ধ ছিল। গতকাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরু হয়েছে । প্রথম দিনে ৮৬টি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকেছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে একটিও পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে ঢোকেনি।’

সমীর ঘোষ জানান, প্রতিদিন এই স্থলবন্দর থেকে ২০০টি করে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যাবে। এতদিন বন্ধ থাকার কারণে মহদিপুর সীমান্তে সাড়ে ৪ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে। এসব ট্রাকের বেশির ভাগ পাথর বোঝাই। এসব পাথর আসে মহদিপুরের কাছে ঝাড়খন্ড রাজ্যের পাকুর ও সাহেবগঞ্জ থেকে। যদিও এখন পাথর রপ্তানির চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য ও ফলমূলের ওপর। প্রতি বছর এই সীমান্ত পথে ৩ হাজার কোটি রুপির বাণিজ্য হয়।

সমীর ঘোষ বলেন, এই সীমান্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পণ্যবাহী ট্রাক আসার পর তা বাংলাদেশের সোনামসজিদ সীমান্তে গিয়ে পণ্য খালাস করে। এই লক্ষ্যে এখানে ৫০ জন চালক নিয়ে গড়া হয়েছে একেকটি দল। তাঁরা এই সীমান্তে আসা পণ্যবাহী ট্রাককে সোনাসজিদের পার্কিংজোনে পৌছে দিয়ে পায়ে হেঁটে চলে আসবেন মহদিপুরে। পণ্য খালাস হওয়ার পর খবর দেওয়া হলে আবার গিয়ে ট্রাক নিয়ে আসবেন। এই ৫০ জন চালকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে মহদিপুর সীমান্তেই। ৫০ জনের একটি দল একটানা ১৫দিন সীমান্তের পণ্যবাহী ট্রাক চালাবেন। এর পর আবার ১৫ দিন থাকবেন সীমান্তের কোয়ারিন্টন সেন্টারে। এভাবে চলবে প্রথম দলের কাজ। এরপর আবার যোগ দেবেন ৫০ জন ট্রাক চালকের দ্বিতীয় দলটি। এভাবে চলবে সীমান্তের পণ্য বাহী ট্রাক আনা–নেওয়ার কাজ।