ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

৮ দিনে আক্রান্ত তিন হাজারের বেশি! তবুও কলকাতায় কমল কনটেনমেন্ট জোন, তাজ্জব পুরসভার হেলথ অফিসাররা

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০
  • ৭৮১ পঠিত

আটদিনে প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে কলকাতায় করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বহুতল কমপ্লেক্স যেমন আছে তেমনই রয়েছে মধ্যবিত্ত ও পাকাবাড়ি প্রধান মিশ্র এলাকাও। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্যদপ্তর শহরের কনটেনমেন্ট জোনের যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে এক ধাক্কায় সংখ্যা কমে হল ২৪। গত ৮ জুলাই নবান্ন থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয় সেখানে সংখ্যা ছিল ২৫, তিনদিন পরে তা বেড়ে ২৮। কিন্তু গত কয়েকদিন গড়ে প্রায় ৫০০ জনের মত শহরে সংক্রমিত হচ্ছেন, মারা গিয়েছেন গড়ে ৯/১০ জন। ৯ জুলাই পর্যন্ত কলকাতায় মারা গিয়েছেন ৪৫৭, আর ১৬ জুলাই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৩৭। আটদিনে কলকাতায় মৃত ৮০ জন।

গত আট জুলাই কলকাতায় মোট আক্রান্ত ছিলেন ৮৩৬৮, আর ১৬ জুলাইয়ের হিসাবে সংক্রমিত হয়েছেন ১১,৪৭১ জন। এমন প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যদপ্তরের তালিকায় এদিন কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৪ নেমে আসায় কলকাতা পুরসভার হেলথ অফিসাররাই প্রবল বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন,“গত সাতদিনে যে সমস্ত কনটেনমেন্ট জোনে নতুন রোগী পাওয়া যায়নি এবং ওই এলাকায় সংক্রমণ ঘটেনি তাই ১১টি স্পট বাদ গিয়েছে। নতুন সংক্রমিত এলাকা হিসাবে সাতটি ঢুকেছে।” কিন্তু উত্তর ও মধ্য কলকাতার সঙ্গে যাদবপুর, টালিগঞ্জে যে ব্যপকহার সংক্রমণ ঘটছে এবং হাজার তিনেক নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে তা হলে কীভাবে স্বাস্থ্যদপ্তরের তালিকায় কনটেনমেন্ট জোন কমছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এদিন নবান্নে বলেছেন, ”কলকাতায় আক্রান্ত ও মৃতের একটা বড় অংশ জেলা ও ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। চিকিৎসা করাতে এসে মারা যাচ্ছেন।”

কলকাতা পুরসভার হেলথ অফিসারদের বক্তব্য, নতুন আক্রান্তদের একটা বড় অংশই বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন। বরং সেই কারণে ওই সমস্ত রোগীদের বাড়ির এলাকায় দ্রুত কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে লকডাউন আইন কড়াকড়ি করা দরকার। কারণ, তা না হলে ওই সমস্ত হোম আইসোলেশন রোগী ও তাঁদের পরিবার প্রকাশ্য জনবহুল এলাকায় ঘুরে বেড়াবেন। এবং সেই সমস্ত পরিজনদের থেকে নতুন করে সংক্রমিত হতে শুরু করবে। কিন্তু তিন হাজারের বেশি মানুষ নতুন সংক্রমিত হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্যদপ্তর কনটেনমেন্ট জোন কম করে দেখালে তাতে কলকাতার সাধারণ নাগরিকদেরই করোনায় ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি বলে মন্তব্য পুরসভার হেলথ অফিসারদের।

স্বাস্থ্যদপ্তরের তালিকায় যে সাতটি রাস্তা ঢুকেছে তার অধিকাংশই দক্ষিণ কলকাতার। এগুলি হল–১৮/১ ডোভার লেন, ৬ শরৎ বোস রোড, ৪৬/১ শরৎ বোস রোড। তিনটিই হল গড়িয়াহাট ও বালিগঞ্জ এলাকায়।  এছাড়াও পোস্তার শিকদার পাড়া স্ট্রিট (১০সি, ১১, ১২ ও ১৭/১), আলিপুরের রাজা সন্তোষ রায় রোড (১৫, ১৫সি, ১৭, ২৫), ও মুদিয়ালির পাহাড়পুর রোড এবং বালিগঞ্জের ১১ জাস্টিস চন্দ্রমাধব রোড।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

৮ দিনে আক্রান্ত তিন হাজারের বেশি! তবুও কলকাতায় কমল কনটেনমেন্ট জোন, তাজ্জব পুরসভার হেলথ অফিসাররা

প্রকাশিত : ১১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০

আটদিনে প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে কলকাতায় করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বহুতল কমপ্লেক্স যেমন আছে তেমনই রয়েছে মধ্যবিত্ত ও পাকাবাড়ি প্রধান মিশ্র এলাকাও। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্যদপ্তর শহরের কনটেনমেন্ট জোনের যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে এক ধাক্কায় সংখ্যা কমে হল ২৪। গত ৮ জুলাই নবান্ন থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয় সেখানে সংখ্যা ছিল ২৫, তিনদিন পরে তা বেড়ে ২৮। কিন্তু গত কয়েকদিন গড়ে প্রায় ৫০০ জনের মত শহরে সংক্রমিত হচ্ছেন, মারা গিয়েছেন গড়ে ৯/১০ জন। ৯ জুলাই পর্যন্ত কলকাতায় মারা গিয়েছেন ৪৫৭, আর ১৬ জুলাই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৩৭। আটদিনে কলকাতায় মৃত ৮০ জন।

গত আট জুলাই কলকাতায় মোট আক্রান্ত ছিলেন ৮৩৬৮, আর ১৬ জুলাইয়ের হিসাবে সংক্রমিত হয়েছেন ১১,৪৭১ জন। এমন প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যদপ্তরের তালিকায় এদিন কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৪ নেমে আসায় কলকাতা পুরসভার হেলথ অফিসাররাই প্রবল বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন,“গত সাতদিনে যে সমস্ত কনটেনমেন্ট জোনে নতুন রোগী পাওয়া যায়নি এবং ওই এলাকায় সংক্রমণ ঘটেনি তাই ১১টি স্পট বাদ গিয়েছে। নতুন সংক্রমিত এলাকা হিসাবে সাতটি ঢুকেছে।” কিন্তু উত্তর ও মধ্য কলকাতার সঙ্গে যাদবপুর, টালিগঞ্জে যে ব্যপকহার সংক্রমণ ঘটছে এবং হাজার তিনেক নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে তা হলে কীভাবে স্বাস্থ্যদপ্তরের তালিকায় কনটেনমেন্ট জোন কমছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এদিন নবান্নে বলেছেন, ”কলকাতায় আক্রান্ত ও মৃতের একটা বড় অংশ জেলা ও ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। চিকিৎসা করাতে এসে মারা যাচ্ছেন।”

কলকাতা পুরসভার হেলথ অফিসারদের বক্তব্য, নতুন আক্রান্তদের একটা বড় অংশই বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন। বরং সেই কারণে ওই সমস্ত রোগীদের বাড়ির এলাকায় দ্রুত কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে লকডাউন আইন কড়াকড়ি করা দরকার। কারণ, তা না হলে ওই সমস্ত হোম আইসোলেশন রোগী ও তাঁদের পরিবার প্রকাশ্য জনবহুল এলাকায় ঘুরে বেড়াবেন। এবং সেই সমস্ত পরিজনদের থেকে নতুন করে সংক্রমিত হতে শুরু করবে। কিন্তু তিন হাজারের বেশি মানুষ নতুন সংক্রমিত হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্যদপ্তর কনটেনমেন্ট জোন কম করে দেখালে তাতে কলকাতার সাধারণ নাগরিকদেরই করোনায় ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি বলে মন্তব্য পুরসভার হেলথ অফিসারদের।

স্বাস্থ্যদপ্তরের তালিকায় যে সাতটি রাস্তা ঢুকেছে তার অধিকাংশই দক্ষিণ কলকাতার। এগুলি হল–১৮/১ ডোভার লেন, ৬ শরৎ বোস রোড, ৪৬/১ শরৎ বোস রোড। তিনটিই হল গড়িয়াহাট ও বালিগঞ্জ এলাকায়।  এছাড়াও পোস্তার শিকদার পাড়া স্ট্রিট (১০সি, ১১, ১২ ও ১৭/১), আলিপুরের রাজা সন্তোষ রায় রোড (১৫, ১৫সি, ১৭, ২৫), ও মুদিয়ালির পাহাড়পুর রোড এবং বালিগঞ্জের ১১ জাস্টিস চন্দ্রমাধব রোড।