কিশোরগঞ্জের ভৈরব খাদ্যগুদামের সিল ভাঙ্গা ও মজুদ কমের ঘটনায় দুদকের কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ অঞ্চলের দুদকের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ ভৈরব খাদ্যগুদাম পরিদর্শন করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খিসা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।
তারা ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করে গুদামের মজুদ মাল, কেন সিল ভাঙ্গা হয়েছিল, কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল সব বিষয় তদন্ত করেন। তবে সিল করা গুদামে মজুদ মালের সংখ্যা ১ হাজার ২৭৫ মেট্রিক টন (২৫৫০০ বস্তা)। এ কারণে মজুদ মাল স্বল্প সময়ে গণনা করা সম্ভব নয় বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান।
গত ২২ মার্চ খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ ভৈরব খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে এসে দুটি গুদামে মাল মজুদ কম সন্দেহ করে দুটি গুদাম সিলগালা করে দেন। পরদিন গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান গুদামের সিল ভেঙ্গে ফেলেন।
ঘটনাটি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা গুদামে এসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হলে মামলার তদন্ত দেয়া হয় দুদককে।
এ ছাড়া এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি ৬টি গুদামের মজুদ মাল গণনা করে ৮১ টন চাল ও ১ লাখ ৭৭ হাজার খালি বস্তা মজুদ কম পায়। চাল ও খালি বস্তার সরকারি মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
দুদকের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, থানায় দায়ের করা মামলাটি আমাদেরকে তদন্ত করতে দেয়া হয়েছে। করোনার কারণে তদন্ত কাজ বিলম্ব হয়। আজ আমরা ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্ত করতে এসেছি। এই তদন্ত চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।