ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

এবার প্রবৃদ্ধি হবে ১.৬ শতাংশ, আগামী অর্থবছর ১ শতাংশ

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০
  • ৭২৪ পঠিত

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল সোমবার রাতে বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস ২০২০ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও কমে ১ শতাংশে আসতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনার কারণে দেশের শিল্পপণ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, যা রপ্তানির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া করোনায় প্রবাসী আয়েও পতন হয়েছে। এ ছাড়া দেশের পণ্য সরবরাহব্যবস্থা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে, যা শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থা নয়; শিল্প খাতের মধ্যবর্তী পণ্য আনা-নেওয়াকেও ব্যাহত করেছে।

বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দারিদ্র্য বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।

করোনায় সবকিছু বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক বলেছে, লকডাউনের কারণে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের মতো দেশে ব্যক্তিপর্যায়ের ভোগ ব্যাপকভাবে কমেছে। এসব দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকারখানাগুলো হলো বেসরকারি খাতের প্রাণ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় ব্যাপক পরিমাণ কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ হারিয়েছে। পল্লি এলাকায় খাবার ও অন্যান্য পণ্য সরবরাহও বিঘ্নিত হয়েছে। সম্প্রতি লকডাউন শিথিল করায় এসব দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

 বিশ্বব্যাংক মনে করে, দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি প্রকট হলে দারিদ্র্য বাড়বে। এই অঞ্চলে অনানুষ্ঠানিক খাতে বিপুলসংখ্যক লোক কাজ করেন। করোনা মহামারি তাঁদের স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় খাবারের মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকি আছে। দেশগুলো বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনের ভারসাম্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

এবার প্রবৃদ্ধি হবে ১.৬ শতাংশ, আগামী অর্থবছর ১ শতাংশ

প্রকাশিত : ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল সোমবার রাতে বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস ২০২০ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও কমে ১ শতাংশে আসতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনার কারণে দেশের শিল্পপণ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, যা রপ্তানির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া করোনায় প্রবাসী আয়েও পতন হয়েছে। এ ছাড়া দেশের পণ্য সরবরাহব্যবস্থা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে, যা শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থা নয়; শিল্প খাতের মধ্যবর্তী পণ্য আনা-নেওয়াকেও ব্যাহত করেছে।

বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দারিদ্র্য বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।

করোনায় সবকিছু বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক বলেছে, লকডাউনের কারণে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের মতো দেশে ব্যক্তিপর্যায়ের ভোগ ব্যাপকভাবে কমেছে। এসব দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকারখানাগুলো হলো বেসরকারি খাতের প্রাণ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় ব্যাপক পরিমাণ কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ হারিয়েছে। পল্লি এলাকায় খাবার ও অন্যান্য পণ্য সরবরাহও বিঘ্নিত হয়েছে। সম্প্রতি লকডাউন শিথিল করায় এসব দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

 বিশ্বব্যাংক মনে করে, দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি প্রকট হলে দারিদ্র্য বাড়বে। এই অঞ্চলে অনানুষ্ঠানিক খাতে বিপুলসংখ্যক লোক কাজ করেন। করোনা মহামারি তাঁদের স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় খাবারের মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকি আছে। দেশগুলো বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনের ভারসাম্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।