ঢাকা , বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

সুনামগঞ্জে আরও ৯২ জন কোভিডে আক্রান্ত

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০
  • ৬৬৭ পঠিত

সুনামগঞ্জে আরও ৯২ জনের করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এটি সুনামগঞ্জে এক দিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২৪। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১১ জন। মারা গেছেন চারজন।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৪ জন, ছাতক উপজেলায় ৩২ জন, জামালগঞ্জ উপজেলায় ১৮ জন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ৪ জন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ২ জন, জগন্নাথপুর ও শাল্লা উপজেলায় ১ জন করে রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, সুনামগঞ্জে মোট আক্রান্ত ৫২৪ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪৪ জন, ছাতক উপজেলায় ১৪৯ জন, দোয়ারাবাজারে ৪২ জন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ৩৫ জন, তাহিরপুরে ১৭ জন, বিশ্বম্ভরপুরে ১৯ জন, জগন্নাথপুরে ৩৭ জন, জামালগঞ্জে ৪০ জন, দিরাইয়ে ১১ জন, শাল্লায় ১২ জন ও ধরমপাশা উপজেলায় ১৮ জন আছেন। সুনামগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত চারজন মারা গেছেন। এর মধ্যে ছাতকে তিনজন ও জামালগঞ্জে একজন।

সুনামগঞ্জে গত ৩০ মার্চ প্রথম নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ হাজার ৪৮০ জনের। পরীক্ষার ফল জানা গেছে ৫ হাজার ৩১৯ জনের।

সুনামগঞ্জে ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২৪ মে পর্যন্ত ৪২ দিনে আক্রান্ত হন ৮২ জন। এর পরের ২০ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪২ জন।

প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের পর লকডাউন শিথিল হওয়ায় সর্বত্র মানুষের চলাচল বেড়েছে। এ কারণে সংক্রমণও বেড়েছে। কিছু কিছু মানুষ আছে কোনো কারণ ছাড়াই হাটবাজারে ঘুরে বেড়ান। এটা এখন বড় সমস্যা। গ্রামে এখনো বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে উদাসীনতা রয়েছে।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন জানান, এখন নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বাড়ায় শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যাও বাড়ছে। তবে মানুষের চলাফেরা বৃদ্ধি পাওয়াও সংক্রমণ বাড়ার একটা কারণ। মানুষ সচেতন হলে, স্বাস্থ্যবিধি মানলেই তবে সংক্রমণ কমবে।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

সুনামগঞ্জে আরও ৯২ জন কোভিডে আক্রান্ত

প্রকাশিত : ০১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

সুনামগঞ্জে আরও ৯২ জনের করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এটি সুনামগঞ্জে এক দিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২৪। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১১ জন। মারা গেছেন চারজন।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৪ জন, ছাতক উপজেলায় ৩২ জন, জামালগঞ্জ উপজেলায় ১৮ জন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ৪ জন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ২ জন, জগন্নাথপুর ও শাল্লা উপজেলায় ১ জন করে রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, সুনামগঞ্জে মোট আক্রান্ত ৫২৪ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪৪ জন, ছাতক উপজেলায় ১৪৯ জন, দোয়ারাবাজারে ৪২ জন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ৩৫ জন, তাহিরপুরে ১৭ জন, বিশ্বম্ভরপুরে ১৯ জন, জগন্নাথপুরে ৩৭ জন, জামালগঞ্জে ৪০ জন, দিরাইয়ে ১১ জন, শাল্লায় ১২ জন ও ধরমপাশা উপজেলায় ১৮ জন আছেন। সুনামগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত চারজন মারা গেছেন। এর মধ্যে ছাতকে তিনজন ও জামালগঞ্জে একজন।

সুনামগঞ্জে গত ৩০ মার্চ প্রথম নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ হাজার ৪৮০ জনের। পরীক্ষার ফল জানা গেছে ৫ হাজার ৩১৯ জনের।

সুনামগঞ্জে ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২৪ মে পর্যন্ত ৪২ দিনে আক্রান্ত হন ৮২ জন। এর পরের ২০ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪২ জন।

প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের পর লকডাউন শিথিল হওয়ায় সর্বত্র মানুষের চলাচল বেড়েছে। এ কারণে সংক্রমণও বেড়েছে। কিছু কিছু মানুষ আছে কোনো কারণ ছাড়াই হাটবাজারে ঘুরে বেড়ান। এটা এখন বড় সমস্যা। গ্রামে এখনো বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে উদাসীনতা রয়েছে।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন জানান, এখন নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বাড়ায় শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যাও বাড়ছে। তবে মানুষের চলাফেরা বৃদ্ধি পাওয়াও সংক্রমণ বাড়ার একটা কারণ। মানুষ সচেতন হলে, স্বাস্থ্যবিধি মানলেই তবে সংক্রমণ কমবে।