কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইমাম হোসেন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, ওই যুবক মাদক পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। বুধবার ভোররাতে শহীদ এ টি এম জাফর আলম আরাকান সড়কের (কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক সড়ক) উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমাম টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে। তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পুলিশ বলছে, ইমাম হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারে জড়িত বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে। আজ বুধবার ভোররাতে ইয়াবার একটি বড় চালান গাড়িযোগে পাচারের খবর পায় পুলিশ। এর সূত্র ধরে পুলিশের একটি বিশেষ দল রঙ্গিখালী এলাকায় অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি স্থাপন করে। এ সময় কক্সবাজারমুখী একটি অটোরিকশা থামার সংকেত দেন পুলিশ সদস্যরা। তখন গাড়িতে থাকা মাদক পাচারকারীরা অতর্কিত পুলিশের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে।
একপর্যায়ে অটোরিকশা থেকে পাঁচজন দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে একজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে অটোরিকশা পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ইমাম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়েছেন। তাঁদের টেকনাফের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি দেশীয় এলজি ও তিনটি গুলি উদ্ধার করেছে জানিয়ে ওসি বলেন, ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা ইয়াবা বহনকারী অটোরিকশাটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।