ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাসায় করোনা শনাক্ত ৪ জনের

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০
  • ১১৩৬ পঠিত

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাসায় কর্মরত চারজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তার পরিবারের সবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

তিনি লেখেন, ‘২০০০ সালে ডেঙ্গু হয়েছিল আমার, রোজার মাসে। তখন ডেঙ্গু মানে অবধারিত মৃত্যু। সেই সাথে হলো পক্স। এমন অবস্থা মনে হলো হাতে আর দুই একদিন সময় আছে! টানা একমাস অসুস্থতার পর সুস্থ হয়ে ওঠার একদিন আগে একজন ডাক্তার বাসায় এসে বললেন ডেঙ্গু হয়নি। কে যানে কি হয়েছিলো! আরেকবার ডেঙ্গু হয়েছিল কয়েক বছর আগে, সম্ভবত ২০১৪ সালে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো, রক্ত দিলো। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সুস্থ হলাম। এর মাঝে ছোট, বড়, মাঝারি আরও অসুখ-বিসুখ হয়েছে। প্রতিবার আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ হয়েছি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘করোনাকালে যতটা সম্ভব সাবধানে থাকার চেষ্টা করেছি। যদিও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার প্রথম দিকে মাদ্রিদ আর জেনেভা যেতে হয়েছিলো। বিশ্ব তখনও এর ভয়াবহতা বুঝে ওঠেনি। অনেকদিন থেকেই শুনছি পরিচিত মানুষের পরীক্ষা করাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, কেউ হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুবরণ করেছেন একাধিক পরিচিত ব্যক্তি। তাই আমার বাসার সহকারী মিঠু যখন বললো বাবুর্চি মুসা আর চারজন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে একজনের জ্বর তখন দেরি না করে পরীক্ষা করালাম, নিজেরসহ মোট ৯ জনের। ফলাফল এসেছে মুসা ও সেই নিরাপত্তাকর্মীসহ মোট ৪ জন পজেটিভ। মানে বাকি দুইজন পজেটিভ হয়েও কোনো লক্ষণ নেই। আমরা বাকিরা নেগেটিভ।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লেখেন, ‘গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। বাড়িতে রোগী রেখেই চিকিৎসা করাতে হবে এবং নিজেদের সুস্থ রাখতে হবে। কাজটা মোটেই সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আমাদের সবার জন্য দোয়া করার জন্য। অসুস্থরা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন এবং নতুন কেউ যেন সংক্রমিত না হন।’

তিনি লেখেন, ‘গত দুইমাস যেভাবে কাজ করেছি অবশ্যই চেষ্টা করবো সেভাবে বাসায় থেকে কাজ করতে। অজস্র মানুষের বিভিন্ন অনুরোধ আসে আমার কাছে প্রতিদিন, এই সময় মলত সেটা প্রবাসীদের কাছ থেকে আর অন্যদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশেদের নাগরিকদের কাছ থেকে। এলাকার দেখভালতো আছেই। এখন আর কথা না বাড়াই। সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। ভালো থাকুন সবাই।’

(একটা ছোট্ট অনুরোধ, আমার বাসার কাউকে দয়াকরে শুধু খোঁজ নেবার জন্য ফোন দিবেন না। তারা সবাই মানসিকভাবে কিছুটা হলেও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন এবং নতুন পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেবার জন্য ব্যস্ত আছেন। আপনার কোনো বার্তা থাকলে তা নিচে লিখে দিতে পারেন অথবা যেকোনো মাধ্যমে সরাসরি আমার কাছে।)

আল্লাহ তাআলা রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের প্রতি সদয় হউন।

জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাসায় করোনা শনাক্ত ৪ জনের

প্রকাশিত : ০৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাসায় কর্মরত চারজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তার পরিবারের সবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

তিনি লেখেন, ‘২০০০ সালে ডেঙ্গু হয়েছিল আমার, রোজার মাসে। তখন ডেঙ্গু মানে অবধারিত মৃত্যু। সেই সাথে হলো পক্স। এমন অবস্থা মনে হলো হাতে আর দুই একদিন সময় আছে! টানা একমাস অসুস্থতার পর সুস্থ হয়ে ওঠার একদিন আগে একজন ডাক্তার বাসায় এসে বললেন ডেঙ্গু হয়নি। কে যানে কি হয়েছিলো! আরেকবার ডেঙ্গু হয়েছিল কয়েক বছর আগে, সম্ভবত ২০১৪ সালে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো, রক্ত দিলো। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সুস্থ হলাম। এর মাঝে ছোট, বড়, মাঝারি আরও অসুখ-বিসুখ হয়েছে। প্রতিবার আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ হয়েছি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘করোনাকালে যতটা সম্ভব সাবধানে থাকার চেষ্টা করেছি। যদিও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার প্রথম দিকে মাদ্রিদ আর জেনেভা যেতে হয়েছিলো। বিশ্ব তখনও এর ভয়াবহতা বুঝে ওঠেনি। অনেকদিন থেকেই শুনছি পরিচিত মানুষের পরীক্ষা করাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, কেউ হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুবরণ করেছেন একাধিক পরিচিত ব্যক্তি। তাই আমার বাসার সহকারী মিঠু যখন বললো বাবুর্চি মুসা আর চারজন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে একজনের জ্বর তখন দেরি না করে পরীক্ষা করালাম, নিজেরসহ মোট ৯ জনের। ফলাফল এসেছে মুসা ও সেই নিরাপত্তাকর্মীসহ মোট ৪ জন পজেটিভ। মানে বাকি দুইজন পজেটিভ হয়েও কোনো লক্ষণ নেই। আমরা বাকিরা নেগেটিভ।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লেখেন, ‘গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। বাড়িতে রোগী রেখেই চিকিৎসা করাতে হবে এবং নিজেদের সুস্থ রাখতে হবে। কাজটা মোটেই সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আমাদের সবার জন্য দোয়া করার জন্য। অসুস্থরা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন এবং নতুন কেউ যেন সংক্রমিত না হন।’

তিনি লেখেন, ‘গত দুইমাস যেভাবে কাজ করেছি অবশ্যই চেষ্টা করবো সেভাবে বাসায় থেকে কাজ করতে। অজস্র মানুষের বিভিন্ন অনুরোধ আসে আমার কাছে প্রতিদিন, এই সময় মলত সেটা প্রবাসীদের কাছ থেকে আর অন্যদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশেদের নাগরিকদের কাছ থেকে। এলাকার দেখভালতো আছেই। এখন আর কথা না বাড়াই। সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। ভালো থাকুন সবাই।’

(একটা ছোট্ট অনুরোধ, আমার বাসার কাউকে দয়াকরে শুধু খোঁজ নেবার জন্য ফোন দিবেন না। তারা সবাই মানসিকভাবে কিছুটা হলেও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন এবং নতুন পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেবার জন্য ব্যস্ত আছেন। আপনার কোনো বার্তা থাকলে তা নিচে লিখে দিতে পারেন অথবা যেকোনো মাধ্যমে সরাসরি আমার কাছে।)

আল্লাহ তাআলা রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের প্রতি সদয় হউন।