ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

২১ দিনের জন্য অবরুদ্ধ হলো ওয়ারীর ‘রেড জোন’

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০
  • ৭৩০ পঠিত

করোনাভাইরাসের বিস্তারে ‘রেডজোন’ হিসেবে চিহ্নিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ারী অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

শনিবার ভোর ৬টায় ‘লকডাউন’ বাস্তবায়ন শুরু হয় ওয়ারীর নির্দিষ্ট এলাকাগুলো। ২৫ জুলাই পর্যন্ত টানা ২১ দিন লকডাউন চলবে।

এলাকার ১৭টি প্রবেশপথের মধ্যে ১৫টি পথ বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য খোলা রয়েছে ২টি পথ। সেসব পথে স্বেচ্ছাসেবক এবং পুলিশ ডিউটি করছে। শুধু সংবাদকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে।

এলাকার তিনটি সুপারশপ এবং ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেয়ার বুথ। রাখা হয়েছে চিকিৎসার ব্যবস্থাও। করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল।

৪১ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন, আউটার রোড এবং ইনার রোড হিসেবে লারমিনি রোড, হরে রোড, ওয়ার রোড, র‌্যাংকিন রোড এবং নওয়াব রোড ‘রেড জোনের’ আওতায় রয়েছে। এই এলাকায় প্রায় এক লাখ বসবাস।

এসব এলাকায় ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান-পাট, বিপণিবিতান, স্কুল-কলেজ,সরকারি-বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

লকডাউন এলাকায় ইতিমধ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সকাল থেকে কয়েক দফা সেনা সদস্যের টহল টিমও এলাকা ঘুরতে দেখা গেছে। পুলিশের পেট্রোল কারও কিছুক্ষণ পর পর এলাকায় টহল দিচ্ছে।

ডিএমপির ওয়ারী অঞ্চলের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, লকডাউন চলাকালে মানুষজন যাতে ঘরে থাকেন, অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে পুলিশের টহল টিম, মোবাইল টিম ও পেট্রোল টিম কাজ করছে। চেকপোষ্ট আমরা বসিয়েছি, পুরো এলাকায় পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমও কাজ করছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারওয়ার হোসেন আলো বলেন, আমরা পুরো প্রস্তুতি নিয়েই ভোর থেকে লকডাউন শুরু করেছি। এলাকাবাসীকে বলা হয়েছে ঘরে থাকতে। সর্বক্ষণ মাইকিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যাদের ঘরে খাবার নেই, তাদের খাবারও পৌঁছে দেয়া হবে। আর যারা টাকা দেবেন তাদের বাজার করে পৌঁছে দেয়া হবে। এমনকি চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক এ্যাম্বুলেন্স থাকবে। আর কেউ মারা গেলে দাফনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

৪১ নং ওয়ার্ড কমিশনার জানান, তার এই এলাকায় এক লাখের বেশি মানুষ বসবাস করছেন। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী সরবারহের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

২১ দিনের জন্য অবরুদ্ধ হলো ওয়ারীর ‘রেড জোন’

প্রকাশিত : ১২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাসের বিস্তারে ‘রেডজোন’ হিসেবে চিহ্নিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ারী অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

শনিবার ভোর ৬টায় ‘লকডাউন’ বাস্তবায়ন শুরু হয় ওয়ারীর নির্দিষ্ট এলাকাগুলো। ২৫ জুলাই পর্যন্ত টানা ২১ দিন লকডাউন চলবে।

এলাকার ১৭টি প্রবেশপথের মধ্যে ১৫টি পথ বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য খোলা রয়েছে ২টি পথ। সেসব পথে স্বেচ্ছাসেবক এবং পুলিশ ডিউটি করছে। শুধু সংবাদকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে।

এলাকার তিনটি সুপারশপ এবং ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেয়ার বুথ। রাখা হয়েছে চিকিৎসার ব্যবস্থাও। করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল।

৪১ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন, আউটার রোড এবং ইনার রোড হিসেবে লারমিনি রোড, হরে রোড, ওয়ার রোড, র‌্যাংকিন রোড এবং নওয়াব রোড ‘রেড জোনের’ আওতায় রয়েছে। এই এলাকায় প্রায় এক লাখ বসবাস।

এসব এলাকায় ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান-পাট, বিপণিবিতান, স্কুল-কলেজ,সরকারি-বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

লকডাউন এলাকায় ইতিমধ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সকাল থেকে কয়েক দফা সেনা সদস্যের টহল টিমও এলাকা ঘুরতে দেখা গেছে। পুলিশের পেট্রোল কারও কিছুক্ষণ পর পর এলাকায় টহল দিচ্ছে।

ডিএমপির ওয়ারী অঞ্চলের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, লকডাউন চলাকালে মানুষজন যাতে ঘরে থাকেন, অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে পুলিশের টহল টিম, মোবাইল টিম ও পেট্রোল টিম কাজ করছে। চেকপোষ্ট আমরা বসিয়েছি, পুরো এলাকায় পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমও কাজ করছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারওয়ার হোসেন আলো বলেন, আমরা পুরো প্রস্তুতি নিয়েই ভোর থেকে লকডাউন শুরু করেছি। এলাকাবাসীকে বলা হয়েছে ঘরে থাকতে। সর্বক্ষণ মাইকিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যাদের ঘরে খাবার নেই, তাদের খাবারও পৌঁছে দেয়া হবে। আর যারা টাকা দেবেন তাদের বাজার করে পৌঁছে দেয়া হবে। এমনকি চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক এ্যাম্বুলেন্স থাকবে। আর কেউ মারা গেলে দাফনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

৪১ নং ওয়ার্ড কমিশনার জানান, তার এই এলাকায় এক লাখের বেশি মানুষ বসবাস করছেন। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী সরবারহের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।