ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

মতলব দক্ষিণে কোভিড রোগী শনাক্ত হয়ে মারা যাননি কেউ

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০
  • ৬৮০ পঠিত

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় গত শুক্রবার পর্যন্ত কোভিডের উপসর্গ নিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর ওই ১৮ জনের মধ্যে তিনজনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। বাকি ১৫ জনের কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসে। ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পাঠানো নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ উপজেলায় আজ শনিবার পর্যন্ত কোভিড শনাক্ত হয় ১০৮ জনের। স্থানীয়ভাবে শনাক্তের পর এ পর্যন্ত মারা যাননি কেউ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজীব কিশোর বণিক এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রটি জানায়, সংক্রমিত ওই ১০৮ জনের মধ্যে ১০৭ জনকেই বাড়িতে আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন) রেখে মুঠোফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। সংক্রমিত ওই ১০৮ জনের মধ্যে আজ শনিবার পর্যন্ত কোভিড জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ জন। সুস্থতার হার ৩১ দশমিক ৪৮। এ পর্যন্ত কোভিডের উপসর্গ নিয়ে মারা যান ১৮ জন। এর মধ্যে মৃত্যুর পর তিনজনের কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়। স্থানীয়ভাবে কোভিড শনাক্তের পর ওই ১০৮ জনের মধ্যে আজ শনিবার পর্যন্ত একজনও মারা যাননি। অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় কোভিড শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার শূন্য শতাংশ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও রাজীব কিশোর বণিক বলেন, নমুনা দেওয়ার পর যাঁরা কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে মুঠোফোনের মাধ্যমে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। নিয়ম মেনে চলায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের অনেকেই দ্রুত সুস্থ হয়েছেন। যাঁরা এখনো সুস্থ হননি তাঁদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ফাহমিদা হক বলেন, জীবদ্দশায় কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্তের পর এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু না হওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। লোকজনের উচিত অসুস্থতা বা উপসর্গের খবর গোপন না করে বিষয়টি সময়মতো চিকিৎসকদের জানানো। দেরি না করে হাসপাতালে এসে নমুনাও দেওয়া উচিত। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারও নিরাপদে থাকবে।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

মতলব দক্ষিণে কোভিড রোগী শনাক্ত হয়ে মারা যাননি কেউ

প্রকাশিত : ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় গত শুক্রবার পর্যন্ত কোভিডের উপসর্গ নিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর ওই ১৮ জনের মধ্যে তিনজনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। বাকি ১৫ জনের কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসে। ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পাঠানো নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ উপজেলায় আজ শনিবার পর্যন্ত কোভিড শনাক্ত হয় ১০৮ জনের। স্থানীয়ভাবে শনাক্তের পর এ পর্যন্ত মারা যাননি কেউ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজীব কিশোর বণিক এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রটি জানায়, সংক্রমিত ওই ১০৮ জনের মধ্যে ১০৭ জনকেই বাড়িতে আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন) রেখে মুঠোফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। সংক্রমিত ওই ১০৮ জনের মধ্যে আজ শনিবার পর্যন্ত কোভিড জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ জন। সুস্থতার হার ৩১ দশমিক ৪৮। এ পর্যন্ত কোভিডের উপসর্গ নিয়ে মারা যান ১৮ জন। এর মধ্যে মৃত্যুর পর তিনজনের কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়। স্থানীয়ভাবে কোভিড শনাক্তের পর ওই ১০৮ জনের মধ্যে আজ শনিবার পর্যন্ত একজনও মারা যাননি। অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় কোভিড শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার শূন্য শতাংশ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও রাজীব কিশোর বণিক বলেন, নমুনা দেওয়ার পর যাঁরা কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে মুঠোফোনের মাধ্যমে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। নিয়ম মেনে চলায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের অনেকেই দ্রুত সুস্থ হয়েছেন। যাঁরা এখনো সুস্থ হননি তাঁদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ফাহমিদা হক বলেন, জীবদ্দশায় কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্তের পর এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু না হওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। লোকজনের উচিত অসুস্থতা বা উপসর্গের খবর গোপন না করে বিষয়টি সময়মতো চিকিৎসকদের জানানো। দেরি না করে হাসপাতালে এসে নমুনাও দেওয়া উচিত। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারও নিরাপদে থাকবে।