মহামারী মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ বড় ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে সার্বিয়ায়। বিক্ষোভের চতুর্থ দিন শুক্রবার রাতে দেশটির পার্লামেন্টে হামলা চালানোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা।
করোনায় সামাজিক দূরত্ব বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে শুক্রবার রাতে মধ্য বেলগ্রেডে দেশটির পার্লামেন্টের সামনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করে হাজার হাজার মানুষ। এ সময় তারা পার্লামেন্টের দিকে পাথর ও বোতল ছুড়ে মারে।
পুলিশি বাধা ও ধাতব বেড়া অপসারণ করতে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টাও করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ শুরুতে পার্লামেন্টের সামনে থেকে ঠেলে সরিয়ে দেয় তাদের। ঢুকতে না পেরে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে বিক্ষোভকারীরা।
একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত হয়েছেন অনেক সাংবাদিক।
একই দিন প্রেসিডেন্ট ভুচিচ জানান, করোনা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে চলমান বিক্ষোভের ফলে রাজনৈতিক ক্ষমতা হারানো নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন নন। বিক্ষোভের কারণে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘন হওয়ায় প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় সফরকালে ভুচিচ সাংবাদিকদের বলেন, যখন আমরা করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের মুখোমুখি, সে মুহূর্তে মানুষজনের এভাবে একত্রিত হওয়া ও বিক্ষোভ করা দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।
২০০০ সালে সার্বিয়ার শক্তিশালী নেতা স্লোবোদান মিলোসেভিচ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটিতে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।