করোনাভাইরাস মানবজাতির এক নম্বর শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এরপরেও বিশ্বের দেশগুলো ভাইরাস প্রতিরোধে সঠিক পথে হাঁটছে না।
সরকারগুলো যদি আরও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে করোনা মহামারী পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়ে উঠবে। এসব কথা বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।
সোমবার স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতরে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশ ভুল পথে হাঁটছে। যেসব দেশ পরীক্ষিত পদ্ধতি গ্রহণ করেনি বা অনুসরণ করেনি, সেখানে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। খবর আলজাজিরার।
গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘করোনা বর্তমানে জনগণের এক নম্বর শত্রু। এরপরও এটা আমলে নিয়ে অনেক দেশ সঠিক পথে হাঁটছে না। করোনার সংক্রমণ রোধে মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে এ মহামারী সামনে এগিয়ে যেতে থাকবে এবং আরও বাজে রূপ ধারণ করবে।’
সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, ‘পুরনো দিনের মতো সেই স্বাভাবিক অবস্থা সুদূর ভবিষ্যতে আর ফিরে না আসার আশঙ্কা রয়েছে, যা খুবই উদ্বেগের বিষয়।’
এএফপি জানিয়েছে, বর্তমানে করোনার সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল যুক্তরাষ্ট্র। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকায় দেশটিতে সংক্রমণও বাড়ছে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৩৩ লাখ ও মৃত্যু ১ লাখ ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে মিশ্র বার্তা মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে জনসাধারণের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে। সর্বসাধারণের শত্রু হিসেবে এক নম্বরে রয়ে গেলেও সরকার এর তোয়াক্কা করছে না। সামাজিক দূরত্ব, হাত ধোয়া ও উপযুক্ত পরিস্থিতিতে মাস্ক পরার মতো পদক্ষেপ গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া দরকার।’
অনুষ্ঠানে সংস্থাটির জরুরি সেবাবিষয়ক পরিচালক ড. মাইক রায়ান বলেন, ‘আমাদের এ ভাইরাস নিয়ে বাঁচতে শিখতে হবে। করোনা থেকে সেরে উঠলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে কি না, বা যদি তা হয়ে থাকে, তবে সেই ক্ষমতা কত দিন স্থায়ী হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
সাম্প্রতিক কিংস কলেজ লন্ডনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার ফলে সৃষ্ট প্রতিরোধ ক্ষমতা মাত্র কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে। এরপরই আবার করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন তারা।