মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এনজিওর ঋণের কিস্তির চাপে ফরহাদ হোসেন (৪৫) নামে এক অটোচালক আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার ভোর রাতে সিংগাইর পৌর এলাকায় মধ্য সিংগাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, করোনার কারণে গত দেড় মাস যাবত ফরহাদ বাড়ি থেকে বের হন না। বাড়িতে চুপচাপ থাকতেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় পরিবারের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ বুধবার ভোর ৫টার দিকে পাশের বাড়ির একতলা বিল্ডিংয়ের বাইরে লোহার সিঁড়ির সঙ্গে গলায় তোয়ালে পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পায় ওই বাড়িতে থাকা নারায়ণ।
এ ঘটনা পরিবারকে জানালে তারা ঘটনাস্থল থেকে মৃত অবস্থায় তাকে নামিয়ে ফেলে। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ হোসেন বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মতো ঋণ নিয়েছিলেন। করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। তাছাড়া বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তিনি দিশেহারা হয়ে এ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে তাদের ধারণা।
সিংগাইর পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো.খোরশেদ আলম ভূঁইয়া জয় বলেন, একাধিক এনজিও থেকে ঋণ এনেছে। কিস্তির চাপে সে আত্মহত্যা করেছে বলে আমাদের ধারণা।
তদন্ত কর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলাম বলেন, কিস্তির চাপে দিশেহারা হয়ে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে আমাদের ধারণা। বেশকিছু এনজিওর ঋণের হিসাব পেয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা বলেন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।