যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারতের মতো বড় বড় দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কঠিন হয়েছে। সেই সঙ্গে ভি–শেপ পুনরুদ্ধারের বদলে ডব্লিউ শেপ পুনরুদ্ধারের ঝুঁকি বেড়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিটের অর্থনীতিবিদেরা এমন আশঙ্কার কথাই বলছেন।
বেহরাভেশ ও জনসন বলেন, ‘আমাদের পূর্বাভাসের পেছনে যে যুক্তি, তার পরিবর্তন করিনি। গ্রাহক ও ব্যবসায়ীরা সতর্ক অবস্থানে আছেন। যদি আর্থিক কর্তৃপক্ষগুলো আরও সহায়তা সরবরাহ না করে, তবে পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আমাদের যে যুক্তি, তা আর থাকবে না।’
করোনা সংকট শুরুর পর থেকে বিশ্বব্যাপী সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো অভূতপূর্ব আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদাহরণ দেখিয়েছে।
এর আগে আইএইচএস মার্কিট তাদের পূর্বাভাসে বলেছিল, চলতি বছর জিডিপি ৮ দশমিক ৬ হ্রাসের সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে ইউরো অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এখন তারা বলছে, সংক্রমণের নতুন ঢেউ ভি-শেপ পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছে, দ্বিগুণ গভীর মন্দার ঝুঁকি বাড়িয়েছে (ডব্লিউ–শেপ পুনরুদ্ধার)।
গত শুক্রবার ব্রাসেলসে পরবর্তী পুনরুদ্ধার সহায়তা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে জড়ো হয়েছেন ইউরোপের নেতারা। কয়েক দিন ধরে এই আলোচনা চলবে।
অর্থনীতির ভাষায়, অর্থনীতি যদি দ্রুত পুনরুদ্ধার হয়, তাহলে তা হবে ইংরেজি বর্ণমালা ‘ভি’–এর মতো। অর্থাৎ দ্রুত খাদে নেমে আবার দ্রুত উঠে আসে। আর বিপর্যয় যদি পরপর দুবার হয় এবং প্রতিবারই খাদ থেকে দ্রুত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হয়, তাহলে তা হবে ইংরেজি বর্ণমালা ‘ডব্লিউ’–এর মতো।