ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

৫০ হাজার পেরোল রাজ্যে করোনা আক্রান্ত, এক দিনে কলকাতায় সংক্রমিত প্রায় ৮০০

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
  • ৮০৪ পঠিত

গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। কলকাতাতেও। সেই সঙ্গে মহানগরীতে মৃতের সংখ্যাও সর্বোচ্চ। — এই ত্রহ্য স্পর্শে বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

এ দিন রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৩৬ জন। তার জেরে গোটা রাজ্যে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৫১ হাজার ৭৫৭। তবে বুধবারের থেকে এ দিন সংক্রমণের হার সামান্য বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১ হাজার ২৫৫ জন।

গত ৫ দিন ধরে কলকাতায় প্রতি দিন নতুন করে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাটা ছশো থেকে সাড়ে ছশোর মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। এ দিন এক ধাক্কায় তা বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৫ জন। উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতায় মৃতের সংখ্যা নিয়েও। রাজ্যে এ দিন যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ১৯ জনই কলকাতার বাসিন্দা।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

মহানগরের পাশাপাশি, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান এবং নদিয়ায় সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৪৫, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৭৩, হাও়ড়ায় ৩০৩, হুগলিতে ৮৭, পূর্ব বর্ধমানে ৪৩, পশ্চিম বর্ধমানে ৬৫, মুর্শিদাবাদে ৩১ এবং নদিয়ায় ২৯ জনের নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের করোনা সংক্রমণের ছবিটা। কোচবিহারে ২০, দার্জিলিঙে ৬৫, জলপাইগুড়িতে ২৪, উত্তর দিনাজপুরে ৫৫, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩৮, মালদহে ৫৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রতিদিন কত জন রোগীর করোনা টেস্ট করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে কত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হয় পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৭ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এ রাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় টেস্টও আরও খানিকটা বেড়েছে। ফলে বেশি সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হওয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এ দিন ১৪ হাজার ৫৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ২ হাজার ৪৩৬ জনের যা ১৬.৭৩ শতাংশ। বুধবারের থেকে এ দিন সংক্রমণের হার সামান্য বেশি। ওই দিন ছিল ১৬.৩২ শতাংশ

এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৩১ হাজার ৬৫৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে এ দিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৬ জন। এ দিন সুস্থতার হার আগের থেকে সামান্য বেড়ে হয়েছে ৬০.১৬ শতাংশ।

 

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে—পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১২৮। কিন্তু  সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৪৮। তার আগের দু’দিন ছিল ১১৫ এবং ১০১। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ১৩৬ এবং ১৪২। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১২৮, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার গড় পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

৫০ হাজার পেরোল রাজ্যে করোনা আক্রান্ত, এক দিনে কলকাতায় সংক্রমিত প্রায় ৮০০

প্রকাশিত : ১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। কলকাতাতেও। সেই সঙ্গে মহানগরীতে মৃতের সংখ্যাও সর্বোচ্চ। — এই ত্রহ্য স্পর্শে বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

এ দিন রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৩৬ জন। তার জেরে গোটা রাজ্যে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৫১ হাজার ৭৫৭। তবে বুধবারের থেকে এ দিন সংক্রমণের হার সামান্য বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১ হাজার ২৫৫ জন।

গত ৫ দিন ধরে কলকাতায় প্রতি দিন নতুন করে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাটা ছশো থেকে সাড়ে ছশোর মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। এ দিন এক ধাক্কায় তা বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৫ জন। উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতায় মৃতের সংখ্যা নিয়েও। রাজ্যে এ দিন যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ১৯ জনই কলকাতার বাসিন্দা।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

মহানগরের পাশাপাশি, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান এবং নদিয়ায় সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৪৫, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৭৩, হাও়ড়ায় ৩০৩, হুগলিতে ৮৭, পূর্ব বর্ধমানে ৪৩, পশ্চিম বর্ধমানে ৬৫, মুর্শিদাবাদে ৩১ এবং নদিয়ায় ২৯ জনের নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের করোনা সংক্রমণের ছবিটা। কোচবিহারে ২০, দার্জিলিঙে ৬৫, জলপাইগুড়িতে ২৪, উত্তর দিনাজপুরে ৫৫, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩৮, মালদহে ৫৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রতিদিন কত জন রোগীর করোনা টেস্ট করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে কত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হয় পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৭ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এ রাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় টেস্টও আরও খানিকটা বেড়েছে। ফলে বেশি সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হওয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এ দিন ১৪ হাজার ৫৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ২ হাজার ৪৩৬ জনের যা ১৬.৭৩ শতাংশ। বুধবারের থেকে এ দিন সংক্রমণের হার সামান্য বেশি। ওই দিন ছিল ১৬.৩২ শতাংশ

এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৩১ হাজার ৬৫৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে এ দিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৬ জন। এ দিন সুস্থতার হার আগের থেকে সামান্য বেড়ে হয়েছে ৬০.১৬ শতাংশ।

 

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে—পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১২৮। কিন্তু  সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৪৮। তার আগের দু’দিন ছিল ১১৫ এবং ১০১। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ১৩৬ এবং ১৪২। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১২৮, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার গড় পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)