ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৭৩ কোটি ডলার দিচ্ছে আইএমএফ

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০
  • ৭৯৮ পঠিত

করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে গেছে, অন্যদিকে রপ্তানিও মার খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যালান্স অব পেমেন্ট ও রাজস্ব চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল(আইএমএফ) বাংলাদেশকে ৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার জরুরি সহায়তা দিচ্ছে। র‌্যাপিড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি অ্যান্ড দ্য র‌্যাপিড ফাইন্যান্সিং ইনস্ট্রুমেন্টের আওতায় এই জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় ২৯ মে এই সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজন হলে তারা বাংলাদেশকে আরও সহায়তা দেবে। এ ছাড়া জরুরি সহায়তার অর্থ যাতে যথপাযথভাবে ব্যবহার করা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ব্যবস্থাও প্রণয়ন করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ জানিয়েছে, ‘কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান দুটি খাত—তৈরি পোশাক রপ্তানি ও রেমিট্যান্স মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ একদিকে রোগের বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টা করছে, অন্যদিকে তার প্রভাবে অর্থনীতিতে শ্লথগতি দেখা যাচ্ছে। এতে রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে। ব্যালান্স অব পেমেন্টের ক্ষেত্রেও ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আইএমএফ মনে করে, এই জরুরি সহায়তা বাংলাদেশকে অর্থায়নের ঘাটতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে। পাশাপাশি রোগের বিস্তার ঠেকাতে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও সহায়তা পেতে কাজ করবে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যাংকের প্রশংসা করে আইএমএফ বলেছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য ঘাটতি মেটাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে এবং আর্থিক খাতে যাতে অর্থনীতির সহায়ক হতে পারে, সেই ব্যবস্থাও নিয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হলে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ছাড় দিতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত হবে, এই ধাক্কা সামলাতে ধারাবাহিকভাবে মুদ্রার বিনিময় হার বাড়ানো, সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠিক রাখা।’

কোভিড-১৯-এর সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে যে সহায়তা প্রকল্প হাতে নিয়েছে, আইএমএফ এর প্রশংসা করেছে। সামষ্টিক অর্থনীতির সম্ভাবনা অক্ষুণ্ণ রেখে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সরকার সহায়তা করেছে। এসব পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে আইএমএফ।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৭৩ কোটি ডলার দিচ্ছে আইএমএফ

প্রকাশিত : ০৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০

করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে গেছে, অন্যদিকে রপ্তানিও মার খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যালান্স অব পেমেন্ট ও রাজস্ব চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল(আইএমএফ) বাংলাদেশকে ৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার জরুরি সহায়তা দিচ্ছে। র‌্যাপিড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি অ্যান্ড দ্য র‌্যাপিড ফাইন্যান্সিং ইনস্ট্রুমেন্টের আওতায় এই জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় ২৯ মে এই সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজন হলে তারা বাংলাদেশকে আরও সহায়তা দেবে। এ ছাড়া জরুরি সহায়তার অর্থ যাতে যথপাযথভাবে ব্যবহার করা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ব্যবস্থাও প্রণয়ন করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ জানিয়েছে, ‘কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান দুটি খাত—তৈরি পোশাক রপ্তানি ও রেমিট্যান্স মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ একদিকে রোগের বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টা করছে, অন্যদিকে তার প্রভাবে অর্থনীতিতে শ্লথগতি দেখা যাচ্ছে। এতে রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে। ব্যালান্স অব পেমেন্টের ক্ষেত্রেও ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আইএমএফ মনে করে, এই জরুরি সহায়তা বাংলাদেশকে অর্থায়নের ঘাটতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে। পাশাপাশি রোগের বিস্তার ঠেকাতে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও সহায়তা পেতে কাজ করবে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যাংকের প্রশংসা করে আইএমএফ বলেছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য ঘাটতি মেটাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে এবং আর্থিক খাতে যাতে অর্থনীতির সহায়ক হতে পারে, সেই ব্যবস্থাও নিয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হলে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ছাড় দিতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত হবে, এই ধাক্কা সামলাতে ধারাবাহিকভাবে মুদ্রার বিনিময় হার বাড়ানো, সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠিক রাখা।’

কোভিড-১৯-এর সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে যে সহায়তা প্রকল্প হাতে নিয়েছে, আইএমএফ এর প্রশংসা করেছে। সামষ্টিক অর্থনীতির সম্ভাবনা অক্ষুণ্ণ রেখে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সরকার সহায়তা করেছে। এসব পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে আইএমএফ।