ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

ছেলে হত্যার বিচার না পেলে কী নিয়ে বাঁচব?

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
  • ৭১৯ পঠিত

নদীতে ফেলে দেওয়ার আগে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল মুখটা। ফলে দুই দিন পর যখন সাইদুর রহমান পায়েলের লাশ ভেসে উঠল, তখন সেটি আর দেখার অবস্থায় নেই। ততক্ষণে বিকৃত হয়ে গেছে। তাই শোকের সাগরে ডুবে থাকা মাকে শেষবারের মতো দেখানো হয়নি ছেলের ক্ষতবিক্ষত মুখ।

নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়ে সাইদুর রহমানের চলে যাওয়ার দুই বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল বুধবার। এই দিন ছেলের ছবি ছুঁয়ে চোখের পানি ফেলা, মুঠোফোনের রেকর্ডারে জমে থাকা ছেলের গলার আওয়াজ শুনে আর পারিবারিক অনুষ্ঠানে ছেলের হাস্যোজ্জ্বল ঘোরাফেরার দৃশ্য দেখে কেটেছে মা কোহিনূর বেগমের।

সেসব আঁকড়ে বেঁচে থাকা এই নারী বলেন, ‘ছেলেকে তো শেষবারের মতো দেখার পরিস্থিতিও তারা রাখেনি। এখন শুধু দেখতে চাই একটা জিনিসই, সেটি হলো ছেলে হত্যার বিচার।’

মামলার বর্তমান অবস্থা

বর্তমানে আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ।

মামলার বাদী গোলাম সরোয়ার্দী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো দুজনের সাক্ষ্য নেওয়া বাকি আছে। তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়ার পর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হবে। এরপর আশা করছি মামলার রায় হবে।’

তবে মামলার ধীরগতিতে হতাশ পায়েলের মা কোহিনূর বেগম। আদরের ছোট ছেলের মৃত্যুর পর একঘরে হয়ে পড়া এই মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাষ্ট্র বা পরিবহনমালিকের কাছে আমি কোনো ক্ষতিপূরণ চাই না। শুধু আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। কিন্তু দুই বছরেও বিচার পেলাম না। যেভাবে ধীরগতিতে মামলার কার্যক্রম চলছে, তাতে বিচার পাওয়া নিয়ে আমি শঙ্কিত।’

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

ছেলে হত্যার বিচার না পেলে কী নিয়ে বাঁচব?

প্রকাশিত : ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

নদীতে ফেলে দেওয়ার আগে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল মুখটা। ফলে দুই দিন পর যখন সাইদুর রহমান পায়েলের লাশ ভেসে উঠল, তখন সেটি আর দেখার অবস্থায় নেই। ততক্ষণে বিকৃত হয়ে গেছে। তাই শোকের সাগরে ডুবে থাকা মাকে শেষবারের মতো দেখানো হয়নি ছেলের ক্ষতবিক্ষত মুখ।

নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়ে সাইদুর রহমানের চলে যাওয়ার দুই বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল বুধবার। এই দিন ছেলের ছবি ছুঁয়ে চোখের পানি ফেলা, মুঠোফোনের রেকর্ডারে জমে থাকা ছেলের গলার আওয়াজ শুনে আর পারিবারিক অনুষ্ঠানে ছেলের হাস্যোজ্জ্বল ঘোরাফেরার দৃশ্য দেখে কেটেছে মা কোহিনূর বেগমের।

সেসব আঁকড়ে বেঁচে থাকা এই নারী বলেন, ‘ছেলেকে তো শেষবারের মতো দেখার পরিস্থিতিও তারা রাখেনি। এখন শুধু দেখতে চাই একটা জিনিসই, সেটি হলো ছেলে হত্যার বিচার।’

মামলার বর্তমান অবস্থা

বর্তমানে আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ।

মামলার বাদী গোলাম সরোয়ার্দী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো দুজনের সাক্ষ্য নেওয়া বাকি আছে। তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়ার পর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হবে। এরপর আশা করছি মামলার রায় হবে।’

তবে মামলার ধীরগতিতে হতাশ পায়েলের মা কোহিনূর বেগম। আদরের ছোট ছেলের মৃত্যুর পর একঘরে হয়ে পড়া এই মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাষ্ট্র বা পরিবহনমালিকের কাছে আমি কোনো ক্ষতিপূরণ চাই না। শুধু আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। কিন্তু দুই বছরেও বিচার পেলাম না। যেভাবে ধীরগতিতে মামলার কার্যক্রম চলছে, তাতে বিচার পাওয়া নিয়ে আমি শঙ্কিত।’