করোনার (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে বগুড়ার বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা মামুনুর রশীদ সরদার (৭২) করোনায় সংক্রমিত ছিলেন। মারা যাওয়ার আগে নমুনা সংগ্রহ করে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। তার রিপোর্ট করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে।
আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরির সহকারী ইনচার্জ মোমিনুর রহমান কোভিড ‘পজিটিভ’ শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতা মামুনুর রশীদ সরদার মারা যান আজ সকাল সাতটার দিকে। এর সাত ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট জানা গেল। তিনি জয়পুরহাটের কালাই পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি কালাই পৌরসভার বিগত নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন।
জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন সেলিম মিঞা দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে জয়পুরহাট জেলায় এটিই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
মৃত মামুনুর রশীদ সরদারের ছেলে রানা সরদার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, আগে থেকে তেমন কোনো উপসর্গ না থাকলেও গতকাল সকাল থেকে তাঁর বাবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দ্রুত কালাই থেকে তাঁকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও অস্বাভাবিক কমে যাচ্ছিল। এ অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার জন্য চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ফাঁকা ছিল না। পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা আজ বেলা ১১টায় রোগী নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তার আগেই শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটলে সকাল সাতটায় তাঁর বাবা মারা যান।
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিক আহমেদ জেবাল প্রথম আলোকে জানান, মামুনুর রশীদ সরদার জয়পুরহাট জেলায় প্রথম কোভিড রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।